অবশেষে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সন্ধেয় হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে আসেন হুইলচেয়ারে চেপে। তাঁকে কালীঘাটের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর পায়ে চোট থাকলেও, প্লাস্টার রয়েছে। প্লাস্টারের জন্য বিশেষ জুতো পরে ছিলেন তিনি।
মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের ফোলা ভাব আগের থেকে অনেকটা কমেছে। অন্যান্য রিপোর্টও স্বাভাবিক। তাই মমতার অনুরোধের চিকিৎসকরা তাঁকে ছাড়ার বিষয়ে সম্মতি দেন বলে জানা গিয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিছুদিন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বেশ কিছু বিধিনিষেধ মানতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। কোনও ভারী জিনিস তোলা বা কাজ করতে পারবেন না তিনি। আপাতত হুইলচেয়ারই হবে তাঁর সঙ্গী। সাতদিন পর আবার তাঁর পায়ের পর্যবেক্ষণ করবে মেডিক্যাল বোর্ড।
বুধবার নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে ওই ঘটনার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই তাঁকে তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম-এ আনা হয়। শুরু হয় চিকিৎসা। মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চিড় ধরেছে। প্লাস্টার করা হয়েছে।
যদিও বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিডিও বার্তায় তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই প্রচারে ফিরবেন তিনি। তবে শারীরিক কারণেই হুইলচেয়ারে বসেই প্রচার করবেন তিনি। এদিন হাসপাতাল থেকে বেরনোর সনয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা-সাংসদ দেব। বাড়িতে গিয়ে এখন বিশ্রামেই থাকতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।