মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, মাদ্রাসা, হাইমাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার ১৭০০ ছাত্র-ছাত্রীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হয়। এদিন ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল থাকার জন্য একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে শান্ত থাকতে হয়, স্ট্রেস হলে কী পরিনতি হয়, স্ট্রেস কীভাবে কমবে, তার জন্যও একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সবসময় মনে রাখা দরকার হাসিখুশি থাকতে হবে। দুঃখ আসবে, দুঃখটাকে জয় করতে হবে। তুমি সারাজীবন রোদে ঘুরবে, বর্ষায় ভিজবে, শরীরকে কষ্ট দিলে শরীর বেগ দেবে না? তবে জীবনে কখনও হতাশ হতে নেই। পজিটিভিটি, এটা ব্রেনের প্লাস পয়েন্ট। আমাদের ব্রেনে কত অজস্র নার্ভ আছে আমরা জানি না। আজও কত সেল আছে আমরা জানি না। আমরা যখন চিৎকার করি, রাগারাগি করি তখন আমাদের কত সেল নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য রাগারাগি করে নয়, শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজটা করতে হবে।'
করোনা আবহে যে কোনও ক্ষেত্রের মানুষেরই নানা ভাবে মানসিক চাপ বেড়ে গিয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারও বেড়ে গিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত। মোবাইল ব্যবহার বেড়েছে পড়ুয়াদের। বাড়ির বাইরে টানা না বেরনোয় ছাত্র-ছাত্রীদের মনে প্রভাব পড়ায় মনোবিদদের কাছে ভিড় বাড়ছে। কীভাবে স্ট্রেস কমাবে ছাত্র-ছাত্রীরা সে বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কখনও স্ট্রেস নেবে না। হাঁটা-চলা করবে, গান শুনবে, আঁকবে, স্ট্রেস কমে যাবে। সবার সঙ্গে মেলামেশা করবে। সবসময় পড়াশুনো করতে হবে তার কোনও মানে নেই। রান্নার ঘরে গিয়ে মায়ের রান্নার খবর নেবে, একটু গল্প করে আসবে। বাচ্চাদের সঙ্গে খেলবে মন ভাল হয়ে যাবে।'
আরও পড়ুন- “৬০% শতাংশ নম্বর পেলেই স্কলারশিপ”, কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা মুখ্যমন্ত্রীর
জীবনে যতই উন্নতি করুক না কেন মুখ্যমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলায় ফিরে আসতে আগাম আবেদন জানিয়ে রাখলেন এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, 'নিজের অস্তিত্ব কখনও ভুলবে না। কেউ চাঁদে যাও। কেউ বিশ্ব জয় করো। নিজেরা যেখানেই যাও ফিরে এসো। বাংলায় ফিরে বাংলা থেকে বিশ্বটাকে জয় করো।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন