CM Mamata: কলকাতা পুরভোটের আগে হাত মাত্র একদিন। শুক্রবার বিকেল ৫টের পর বিধি মেনে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা। তাই শেষবেলায় দলীয় প্রার্থীদের হয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তর কলকাতায় প্রচারে ঝড় তুলছেন তৃণমূল সুপ্রিমো এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়বাজারে রোড শো করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীনের একটি সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতা পুরসভায় যা কাজ হয়েছে, গোটা ভারতে হয়নি। বাংলার কারও সার্টিফিকেট দরকার নেই। বাংলা জানে কীভাবে কাজ করতে হয়। কেন্দ্র জলকর বসাতে চাপ দিয়েছিল। দেশের প্রায় সব রাজ্যে জলকর নেওয়া হয়। কিন্তু বাংলা কারও উপর জলকর বসাবে না। ২০২৪-এর মধ্যে প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়া হবে।‘
স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘উদ্বাস্তু কলোনি উচ্ছেদ করা যাবে না। কেন্দ্রের সরকারের জমিতে গড়ে ওঠা কলোনি থেকে কেন্দ্রের অতরফে উচ্ছেদ নোটিশ এলেও আমাকে আগে জিজ্ঞাসা করতে হবে। প্রয়োজনে ওদের আইনত পাট্টা দেওয়া হবে।‘
কলকাতা জুড়ে চলা মেট্রোর কাজে ধীর গতিতে কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘এখন যেসব মেট্রোর কাজ চলছে, সব আমি রেলমন্ত্রী হিসেবে দিয়েছিলাম। দু’লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই কাজ চলছে তো চলছে। আমি হলে এক বছরে সব কাজ শেষ করে দিতাম। শহরে একাধিক উড়ালপুল তৈরি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাদবপুর-গড়িয়া, বাইপাস নিউটাউন, মাঝেরহাট-টালিগঞ্জ উড়ালপুল তৈরি হবে।‘
এদিন রাজ্যজুড়ে নীল-সাদা রঙের প্রসঙ্গে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি যখন নীল-সাদা রঙ করি, ব্যাঙ্গ করা হয়েছিল রাজ্যকে আর্জেন্টিনা বানাবে। কিন্তু এখন দিল্লি, মুম্বই, কর্নাটকে এই নীল-সাদা রঙ হচ্ছে। আমি এই রঙ বেছেছিলাম কারণ এটা দলীয় রঙ নয়। আকাশের রঙ। আকাশের কোনও সীমা নেই। এখন কলকাতাকে দেখে অনেকের হিংসা হয়।‘
নিউটাউনে আর যাতে কোনও নির্মাণকাজ-পরিকাঠামো তৈরি না হয় সে দিকে নজর দিতে হবে। একটু ফাঁকা ফাঁকা থাকুক। আমাকে না জানিয়ে আর কোনও নির্মাণ কাজ হবে না। এই ভাবেই প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর দাবি, ‘জঙ্গলমহল সফরে একজন বলেছিল দিদি আমাদের স্কুলটা দশম শ্রেণি করে দিন। এক ফোনেই কাজটা করে দিয়েছিলাম। সেভাবেই একটা স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণি হয়েছে।‘ কলকাতার দুর্গাপুজোর ইউনেসকো স্বীকৃতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলা বিশ্ববাংলা হয়ে গিয়েছে। বাংলার দুর্গাপুজো সারা পৃথিবীতে বন্দিত। আমি গর্বিত, বিকশিত, সঞ্জীবিত। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই। যারা বাংলায় এসে বলত, মমতা দি রাজ্যে দুর্গাপুজো হতে দেয় না। তাঁদের মুখে চুনকালি পড়ে গিয়েছে। বাংলাকে আমি বিশ্বসেরা করব। এর জন্য যেখানে যেতে হয় যাব।‘
দলীয় প্রার্থীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘যারা ,মানুষের জন্য কাজ করে তাঁদের আমি ভালবাসি। যারা মানুষের কাজ করে না, তাঁদের ভালবাসিনা। তাই সবসময় মানুষের কাজ করুন। রাস্তায় জল দাঁড়ালে, জল না নামা পর্যন্ত সেই এলাকায় থাকুন। খাল সংস্কারে জোর দিন। নতুন খাল কাটুন, পুকুর কাটুন। পাম্পিং স্টেশন বানান।‘ এদিন বেহালা চৌরাস্তায় সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন