Advertisment

করোনায় ত্রাণ বিলি নিয়ে রণক্ষেত্র গার্ডেনরিচ

সরকারি, বেসরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ বিলি চলছে। এরইমধ্যে রবিবার রাতে ত্রাণ বিলি নিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গার্ডেনরিচ এলাকা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনা নিয়ে সারা দেশ আতঙ্কিত। লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। সরকারি, বেসরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ বিলি চলছে। এরইমধ্যে রবিবার রাতে ত্রাণ বিলি নিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গার্ডেনরিচ এলাকা। ইটবৃষ্টি, বোতল ছোড়াছুড়ি, এমনকী বোমাবাজির অভিযোগও ওঠে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিয়েছেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কী ঘটেছে?

Advertisment

জানা যাচ্ছে, রবিবার রাতে ১৩৪ ও ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিলি চলছিল। জানা গিয়েছে, এই ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করেই ধুন্ধুমারকাণ্ড ঘটে গার্ডেনরিচ এলাকায়। ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আখতারী শাহজাদা এলাকার দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করছিলেন। উল্টোদিকে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামস ইকবালের বোন সাবা ইকবাল ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের লোকেদের জন্য ত্রাণ বিলি করছিলেন। উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার আসন্ন নির্বাচনে ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই বিবাদ চলছিল। শেষমেশ ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে রবিবার রাত ১২টা থেকে শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে ইট ও বোতল ছোড়ছুড়ি। দীর্ঘ সময় ধরে চলে এই অশান্তি। অভিযোগ উঠেছে, যথেচ্ছ বোমাবাজিরও। এলাকা জুড়ে রীতিমত আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। গন্ডগোলের সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে খোলামেলাভাবে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় দুষ্কৃতীদের, এমনটাও অভিযোগ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে।

এদিকে, করোনা প্রতিরোধে কলকাতা পুরসভা জীবাণু নাশ করতে পথে নামিয়েছে স্প্রিংকলার গাড়ি ও হ্যান্ড মেশিন। পুরসভার আধিকারিক ও কর্মীরা এখন নিয়মিত দফতরে আসছেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বাজারের কালোবাজারী রুখতে পথে নেমেছেন। মেয়র ও মেয়রপারিষদরা দফতরে নিয়মিত আসছেন। সব মিলিয়ে সদর্কথকভাবে কাজ করছে পুরসভা। আর এর মধ্যেই দলেরই দুই শিবিরের ত্রাণ বিলি নিয়ে গন্ডগোল এবং তুমুল অশান্তিতে অস্বস্তিতে শাসকদল। গার্ডেনরিচের ঘটনা প্রসঙ্গে সোমবার ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমি তো ছিলাম না। আমি জানি না। তবে আইন আইনের পথে চলবে। আমার সঙ্গে ডিসির কথা হয়েছে।"

corona
Advertisment