কলকাতার দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত (লন্ডন ফেরত) তরুণের আবাসনে আতঙ্কের ছবি। শুক্রবার সকাল থেকে শুনসান গোটা চত্বর। ইতিমধ্যে,বালিগঞ্জের আবাসনে নজরদারি চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর, পাঁচ দিন যাবৎ যত্রতত্র ঘুরে বেরিয়েছেন ওই যুবক। গতকাল গভীর রাতে জানা যায়, তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ। এরপরই তাঁর বাবা, মা, ভাই, দাদু এবং ঠাকুমাকেও রাজারহাটে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।
পরিবার-সহ এরমধ্যে কার কার সঙ্গে ঘুরে বেরিয়েছেন ওই যুবক, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য় দফতর। এরপর সেই তথ্য নিয়ে সঠিক তালিকা তৈরি করা হবে। কিন্তু, এই পদক্ষেপে কতটা সফল হওয়া যাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৩ তারিখ লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতা আসেন এই তরুণ। দিল্লিতে দেড় ঘণ্টা ছিলেন তিনি। এরপর আসেন কলকাতা বিমান বন্দরে। ১৬ তারিখ থেকে শুরু হয় সর্দি-কাশি। এরপর নির্দেশ মেনে ১৭ মার্চ ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এই মুহূর্তে রাজারহাটের কোরেন্টাইন কেন্দ্রে রয়েছে কড়া নজরদারি। রাজারহাটের একটি ক্যান্সার হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছে কোরেন্টইন কেন্দ্রটি। এখানেই যুবকের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানে পরিচয়পত্র ও বিশেষ অনুমতি ছাড়া কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, ফ্রান্স থেকে আসা এক মহিলাকেও কোরেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য় দেশ থেকে যাঁরা শহরে এসেছেন, তাদেরও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওই কেন্দ্রেই। গতকাল জার্মানি থেকে আসা এক তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। এরপর তাকে পরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ৪০০টি শয্যা রয়েছে রাজারহাটের কোরেন্টাইন কেন্দ্রটিতে।