পুজোর পর শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পরিসংখ্যান ঘিরে শঙ্কার ঘনঘটা। পুরনিগম প্রকাশিত তথ্যনুশারে কলকাতা পুর এলাকায় শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছেন ২৪২ জন। এর দ্বিতীয় ডোজের পরও সংক্রমিত হয়েছেন ১৫০ জন। এবার শারদীয়া উৎসবে নিয়ন্ত্রণবিধি শিথিত করা হয়েছিল। তার জেরেই এই পরিণতি বলে চিকিৎসকদের ধারণা। তিলোত্তমায় আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হতেই তড়িঘড়ি নিজেদের সেফ হোম ও কোয়ারেন্টিন সেন্টার চালুর উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ।
পুরনিগমের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪২ জন। এর ২০০ জন উপসর্গহীন। ৫০ জনের শরীরে উপসর্গ রয়েছে। টিকার কোনও ডোজই নেননি নেননি এমন আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ জন। টিকার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার পরেও আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০ এর কাছাকাছি। প্রথম ডোজ় নিয়েছেন এমন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৫ জন।
এই পরিস্থিতিতে শহরের সব কোয়ারেন্টিন সেন্টার এবং দু'টি সেফ হোম খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে কলকাতা পুরনিগমের তরফে। পুর কত্রৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংরা চম্পা মনি মাতৃ সদন সেফ ও হরেকৃষ্ণ শেঠ লেন সেফ হোম খোলা হচ্ছে। এছাড়া তোপসিয়ার কোয়ারেন্টিন সেন্টারও চালুর করা হচ্ছে। তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই কথা বিবেচনা করে হরেকৃষ্ণ শেঠ লেন সেফ হোমটি শিশু ও মায়েদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় পুরনিগমের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে ফোনে কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ বলেছেন, 'পুজোর জন্য বেশ কয়েকটি সেফ হোম বন্ধ ছিল। পুজো শেষে সেগুলিকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুশারে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, অনেকেরই বাড়িতে থাকার অসুবিধা। ফলে পুরসভাও সেফ হোম, কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলিকে প্রস্তুত রাখছে। হঠাৎ যাতে চাপ না পড়ে তার জন্য এই উদ্যোগ।'
আরও পড়ুন- গড়িয়াহাট জোড়া খুনে ৫০ হাজার টাকার সুপারি! পুলিশি জেরায় জানাল মিঠু
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন