Vaccination for 15-18 years: সোমবার অর্থাৎ ৩ জানুয়ারি থেকে কলকাতায় শুরু কিশোরদের (১৫-১৮ বছর) টিকাকরণ। বুধবার সাংবাদিকদের এই তথ্য দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, ‘ভারত সরকারের ঘোষণা মতো ৩ জানুয়ারি থেকেই আমরা ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু করব। কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ৫০টি স্কুলে ঘুরে ঘুরে হবে টিকাকরণ।‘
তিনি জানান, প্রথম দিনে ১৬টি স্কুল, দ্বিতীয় দিন ১৬টি স্কুল এভাবেই ১৬টি বরো ঘুরবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই টিকাকরণ কর্মসূচির পরিকাঠামো স্কুলগুলোকেই তৈরি করতে হবে। বেসরকারি স্কুলগুলো প্রয়োজনে টিকাকরণের সময় চিকিৎসক রাখতে পারে। নয়তো আমাদের সঙ্গেই চিকিৎসক যাবেন। ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, ‘আমাদের পুরসভার আওতাধীন ২৭টি কেন্দ্রে টিকাকরণ চলছে। যেহেতু বাচ্চাদেরও কোভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পাশাপাশি ওই কেন্দ্রগুলোতে কোভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তাই পুরসভার টিকাকেন্দ্র থেকেও বাচ্চারা করোনা টিকা নিতে পারবে। অর্থাৎ স্কুলের পাশাপাশি কোভ্যাকসিন সেন্টার গুলো থেকেও আমরা কোভ্যাকসিন দেব।
এদিন প্রবীণদের বুস্টার ডোজ নিয়েও পুরসভার অবস্থান জানান মেয়র। তিনি বলেন, ‘সারা ভারতে যেটা হবে, আমরাও সেটা করব। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতর আমাদের বুস্টার ডোজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।‘ জানা গিয়েছে, ১০ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী চালু হবে প্রবীণ এবং করোনা যোদ্ধাদের বুস্টার ডোজ টিকাকরণ। দীর্ঘ রোগভোগে আক্রান্ত অর্থাৎ কোমর্বিডিটি রয়েছে। এমন ষাটোর্ধ্বরা পাবেন এই পর্যায়ে বুস্টার ডোজ। তবে অন্তত নয় মাস আগে তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে রাখতে হবে।
করোনার থাবা এবার রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে। চলতি সপ্তাহেই আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। এবার সংক্রমিত হলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় এবং দলীয় কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাধনা বসু সংক্রমিত হয়ে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি সোমবার পুরসভার মেয়র পারিষদদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তাঁর সংক্রমিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যানদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ে। যদিও তাঁদের প্রত্যকেকে নমুনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রয়োজনে আইসোলেশনে থাকতে বলেছেন কলকাতার মেয়র। তবে শুধু শাসক দলের বিধায়ক কিংবা কাউন্সিলর নয়, করোনা ঢুকেছে ছোট লাল বাড়ির অন্দরে। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভায় মেয়রের ঘরে কর্মরত এক কর্মীর সংক্রমণও ধরা পড়েছে। এই আবহে রাজ্যে ফের কোভিড শয্যা বাড়াতে তোরজোড় শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন