তীব্র দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা কলকাতা থেকে শহরতলি। দুপুরের পর রাস্তায় বেরোনো কার্যত দুস্কর। এরই মধ্যে নিত্যদিন রাস্তায় নেমে যানযট নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত থাকেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা। প্রতিবার গরমের সময় রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখে লালবাজার। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
শহরজুড়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে চড়া রোদের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা কর্তব্যরত সহকর্মীদের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে গতকালই কলকাতার নগরপাল, বিনীত কুমার গোয়েল O.R.S, জলের বোতল, রোদ চশমা, ছাতা, মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দিলেন তাঁদের হাতে। শুধুমাত্র ট্রাফিক পুলিশ নয়, সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে শুরু করে গ্রিন পুলিশ যাঁরাই রাস্তায় নেমে ট্রাফিক সামলানোর গুরুদায়িত্ব পালন করেন তাঁদের সকলের হাতেই গরম থেকে বাঁচার জন্য যাবতীয় সামগ্রী তুলে দিয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার।
সেই সঙ্গে লালবাজার সূত্রে খবর গরমে ট্রাফিকের দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য এক অভিনব পন্থা আনা হয়েছে। তীব্র গরমে সব সময় রাস্তায় নেমে নয়, কিয়স্কে বসেও মনিটরিং করতে পারবেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী। লালবাজারের ট্রাফিকের এক সিনিয়র আধিকারিক বলেন, "বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কিয়স্কে বসে স্ক্রিনে মনিটরিংয়ের কাজ করতে পারবেন ট্রাফিক আধিকারিকরা”।
এর ফলে নিতান্ত প্রয়োজন না হলে রাস্তায় নেমে ট্রাফিক সামলানো থেকে গরমে কিছুটা রেহাই পেলেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। কোনও গাড়ি যদি রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ম অমান্য করে তাহলে প্রযুক্তির মাধ্যমেই এসএমএসে জরিমানার মেসেজ তাঁর ফোনে সেন্ড হয়ে যাবে। অর্থাৎ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই গরম থেকে রেহাইয়ের পথ বেছে নিল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
গত এক বছরের উপর ধরে কলকাতায় ট্রাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত হয়েছে। কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সংযোগস্থলগুলিতে রয়েছে প্রায় স্বয়ংক্রিয় ও স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল। তার সঙ্গে রয়েছে টাইমার। সঙ্গে প্রতিটি মোড়ে রয়েছে সিসিটিভি নজরদারি।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির ছোঁয়ায় দাম বেড়েছে লাচ্ছা-সিমুইয়ের, ইদের বাজারে হতাশ ব্যবসায়ীরা
কেউ সিগন্যাল অমান্য করলেই সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির মালিকের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে মেসেজ। ট্রাফিক এখন অনেকটাই প্রযুক্তি নির্ভর তাই মিটিং-মিছিল ছাড়া রাস্তায় নেমে ট্রাফিক সামলানোর গুরুদায়িত্ব পালন করা থেকে প্রচণ্ড গরমে কিছুটা রেহাই মিলবে ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদের। যেহেতু মিটিং মিছিলের সময় কিয়স্কে থেকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, তাই তখন রাস্তায় নেমেই ডিউটি করতে হবে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক আধিকারিকদের।