মমতা সরকারকে জোর ধাক্কা! রাজ্য সরকারী কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে: স্যাট

কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দিতে হবে সরকারি কর্মীদের। ষষ্ঠ পে কমিশন অথবা ১ বছরের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। কীভাবে বকেয়া মেটানো হবে তা রাজ্যকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ডিএ মামলায় এমনই নির্দেশ দিল স্যাট।

কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দিতে হবে সরকারি কর্মীদের। ষষ্ঠ পে কমিশন অথবা ১ বছরের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। কীভাবে বকেয়া মেটানো হবে তা রাজ্যকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ডিএ মামলায় এমনই নির্দেশ দিল স্যাট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mamata banerjee, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পার্থ পাল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

রাজ্য সরকারী কর্মীদের জন্য বড় সুখবর। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারীদেরও কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দিতে হবে। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ। তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের জন্য সুনির্দিষ্ট ডিএ ফর্মুলা  তৈরি করে ৬ মাসের মধ্যে কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কীভাবে বকেয়া মেটানো হবে তা রাজ্যকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisment

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের নাম বদল নিয়ে মোদীর সঙ্গে বৈঠক তৃণমূলের

স্যাটের এদিনের রায়কে রাজ্য সরকারের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ সংক্রান্ত দাবির বিরোধিতা করেই প্রথমে স্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিল সরকার পক্ষ। এক্ষেত্রে ডিএ-কে ‘সরকারের দয়ার দান’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল স্যাটের তরফ থেকে। এরপরই আবেদনকারী সরকারী কর্মীরা কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। হাইকোর্ট এক্ষেত্রে কর্মীদের নিজের পর্যবেক্ষণ জানিয়ে মামলা ফের স্যাটে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এরপর এদিনের রায়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল জানিয়ে দেয় রাজ্যকে বকেয়া ডিএ দিতে হবে।

আরও পড়ুন: মোদী সরকারকে বিঁধে নুসরতের টুইট, পাল্টা দিলীপ

Advertisment

উল্লেখ্য, এর আগে ভিনরাজ্যে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গ সরকারারে কর্মীরাও এ রাজ্যে কর্মরতদের থেকে বেশি ডিএ পেয়ে থাকেন বলে হাইকোর্টে জানান আবেদনকারীরা। এমন দৃষ্টিভঙ্গি বৈষম্যমূলক বলেও উল্লেখ করা হয়। এরপরই ২০১৮ সালের ৩১ অগস্টের রায়ে মহার্ঘ ভাতাকে সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার হিসাবে উল্লেখ করে বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখরবন্ধু সরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে এই মামলাটি দু’মাসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার জন্য স্যাটকে নির্দেশ দেয় আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন করে রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে বলা হয়, ‘‘এই নির্দেশ দেওয়ার অধিকার হাইকোর্টের নেই’’।

kolkata news