পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল তিলোত্তমা। জানা গিয়েছে মৃত ওই যুবকের নাম দীপঙ্কর সাহা। পরিবারের দাবি গত কয়েকদিন আগে দীপঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ। এর প্রায় কয়েকঘন্টা পর আজাদ্গড়ের কাছ থেকে দীপঙ্করকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আজাদগড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়।
অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে দীপঙ্করকে এমআর বাঙ্গুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরদিন ফের আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এমআর বাঙ্গুর মেডিকেল কলেজে। সেখানেই মৃত্যু হয় দীপঙ্করের। পরিবারের আরও অভিযোগ দীপঙ্করের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিবারের আর ও অভিযোগ থানা থেকে ফেরার পরেই শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন চোখে পড়ে তাদের। যা একেবারে শিউরে ওঠার মতো।
ঘটনার পরেই পরিবারের তরফে পুলিশ কমিশনার ও ডিসি সাউথ সাবার্বান ডিভিশনে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেই খবর। এর পাশাপাশি পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয় ময়নাতদন্তের সময় পরিবারের একজনকে সেখানে রাখা হবে এমনটা কলকাতা পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলেও সবার নজর এড়িয়েই হয় সেই ময়নাতদন্ত।
আরও পড়ুন: < দেড়ঘন্টার নিখুঁত পুলিশি অভিযান, শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ হামলাকারী CISF জওয়ানের >
এবিষয়ে দীপঙ্করের বোন নেহা বারুই বলেছেন “আজাদগড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় দাদাকে পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। যদিও সেই ঘটনার সঙ্গে দাদা কোনভাবেই জড়িত নয়। দাদাকে থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। শরীরে মিলেছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। আমরা এই ঘটনায় দোষী পুলিশ কর্মীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি”।
এদিকে ঘটনার গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে তৎপর লালবাজার। অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হয়েছে তিন পুলিশ কর্মীকে। যার মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক, কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার। ইতিমধ্যেই ডিসি লালবাজারের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও লালবাজার সূত্রের খবর। এই ঘটনায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।