গতকালই খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, মদন মিত্রের (Madan Mitra) শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। ফুসফুসে গভীর ক্ষত রয়েছে। অবশেষে নারদ কাণ্ডে জেল হেফাজত থেকে রেহাই পেলেও বাড়ি ফিরতে পারেননি। এখনও এসএসকেএম হাসপাতালেই রয়েছেন চিকিৎসাধীন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক। চিকিৎসকের জানিয়েছেন, মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে টিউমার ধরা পড়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, দিন কয়েক ধরেই কথা বলতে অসুবিধে হচ্ছিল মদনের। সেই কারণেই একাধিক পরীক্ষা করানো হয় তাঁর। সেই রিপোর্ট এলেই দেখা যায় যে, কামারহাটির (Kamarhati) তৃণমূল বিধায়কের গলায় একটি টিউমার রয়েছে। তবে কথা বলার পাশাপাশি তাঁর শরীরের আরও কিছু অসুবিধে থাকায়, আরও কয়েকটি টেস্ট করা হবে অতি সত্ত্বর।
তবে, গলার টিউমার নিয়ে এখনই তেমন কিছু উদ্বেগের কারণ দেখতে পাচ্ছেন না চিকিৎসকরা। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব এর চিকিৎসা শুরু করতে হবে। নইলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগোতে পারে। এই টিউমারটি কতটা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে মদন মিত্রের জন্য, তা জানতে আরও বেশকিছু পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, উডবার্নে ভর্তি থাকা তিন নেতা-মন্ত্রীর মধ্যে মদন মিত্রের শারীরিক অবস্থাই সবথেকে গুরুতর ছিল, বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। কারণ, ভোটের পরই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তারপর কোভিডমুক্ত হলেও, শরীর দুর্বল-ই ছিল। এরপরই নারদ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যেতে হয়ে তাঁকে। সেদিন রাতেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মদন মিত্রের ফুসফুসে ক্ষত ধরা পড়েছে। আপাতত,উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর ঘরে ভর্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) একনিষ্ঠ সৈনিক মদন মিত্র।