Gariahat Double Murder: গড়িয়াহাটের অভিজাত কাকুলিয়া রোডের বহুতল থেকে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুবীর চাকী এবং রবীন মণ্ডল। বন্ধ দরজা ভেঙে তিন তলা থেকে উদ্ধার হয়েছে বাড়ির মালিক সুবীরের দেহ। আর দো’তলায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল সুবীরবাবুর গাড়ির চালক রবীনের দেহ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে গড়িয়াহাট থানা এবং লালবাজারের হোমিসাইড শাখা।
দু’জনকেই খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান পুলিশের। মৃতদেহ দু’টির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে গলা, পা এবং বুকে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পারবে পুলিশ। কাকুলিয়া রোডের ওই বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক দল। সেই বাড়িতে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিত থাকলে, কী করে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ থাকে? এই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।
পড়শিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটা সুবীরবাবুর পৈতৃক বাড়ি। তিনি এখন নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনে মা, শাশুড়ি এবং স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। ছেলে এবং মেয়ে, দু'জনেই প্রতিষ্ঠিত এবং কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। রবিবার দুপুরে ড্রাইভারকে সঙ্গে নিয়ে গড়িয়াহাটের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাত পর্যন্ত কোনও খোঁজ না মেলায় পরিবার পড়শিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁরাও বাড়ি গিয়ে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। তারপরেই দরজা ভেঙে ওই দু’জনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বছর ৬১-এর এই ব্যক্তি একটি বহুজাতিক সংস্থার এমডি পদে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার পর্যন্ত অফিসে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনটাই তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সুবীরবাবুর গড়িয়াহাটের বাড়ির একতলায় একটি অফিস চলে। সেটা রবিবার বন্ধ ছিল। সেই অফিসের পিছন দিয়ে একটি সিঁড়ি বেয়ে দো’তলায় ওঠা যায়। আততায়ীরা সম্ভবত বন্ধ অফিসের সুযোগে সেই সিঁড়ি বেয়ে বহুতলের অন্দরে ঢুকেছিল। আবার সেই পথ দিয়েই বেরিয়ে গিয়েছে।
সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে এই খুন কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ, কারণ গত এক বছর ধরে গড়িয়াহাটের এই বাড়ি বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিলেন সুবীরবাবু। সেই সুত্রেই একাধিক উৎসাহী ব্যক্তি বাড়ি দেখতে এলে তিনি নিউটাউন থেকে গড়িয়াহাট আসতেন। রবিবার সেই কাজেই গিয়েছিলেন সুবীরবাবু। তারপরেই এই ঘটনা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন