আবেগের স্মৃতি উস্কে আজ ফের শহরের পথে গড়াতে শুরু করল দোতলা বাসের চাকা। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী সূচনা করলেন এই বাস যাত্রার।
কলকাতায় আপাতত দিনে দুবার এই বাস চলাচল করবে। অনলাইনে টিকিট বুক করতে হবে। বুধবার থেকেই চালু হবে বুকিং। সকাল ১০.৩০ এবং ১১.৩০টায় বাস ছাড়বে। বিনোদনের জন্য় থাকবেন বাংলার লোকশিল্পীরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'কলকাতার দ্রষ্টব্য স্থান যেমন, ভিক্টোরিয়া, সেন্ট ক্যাথিড্রাল, ইডেন উদ্যান, ফোর্ট উইলিয়াম, সেন্ট জন্স চার্চ, জিপিও, ডালহৌসি, কার্জন পার্ক,ব প্রিন্সেপ ঘাট, টাউন হল, ট্যাঁশাল, নবান্ন, দ্বিতীয় হুগলি সেতু, লালদিঘি, বাবুঘাট, হাওড়া সেতু, জাতীয় গ্রন্থাগান, চিড়িয়াখানা এই বাসে করে মানুষের দেখা উচিত। পরে এই বাসের যাত্রাপথের পরিমার্জন হবে।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/10/double-decker-bus-1.jpg)
এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কলকাতা থেকে লন্ডনে সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালু করার জন্য বিমান মন্ত্রককে রাজ্য সরকার ফের অনুরোধ করবে।
১৫ বছর পর কলকাতায় ফিরল দোতলা বাস। তবে, গণপরিবহণের অংশ হিসাবে নয়, উৎসবে একেবারের নতুন চেহারার দোতলা হয়ে উঠবে পর্যটনের আকর্ষণ। ৫১ আসন বিশিষ্ট্য দুটি দোতলা বাস মহানগরে পুজো পরিক্রমার জন্য ব্যবহার করা হবে। পরে পর্যটকরা এই বাসে করেই শহর কলকাতার নানা প্রান্ত ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন।
ছবি- ফেসবুক
স্বয়ংক্রিয় দরজা, চওড়া সিঁড়ি, মেট্রোর মতো গন্তব্য–চিহ্নিত বোর্ড, প্যানিক বটন, সিসি টিভি সহ দোতলা বাস দু'টি একেবারে অত্যাধুনিক। তবে পুরনো দোতলা বাসগুলিতে দু'টি দরজা থাকলেও নতুন বাসে থাকবে একটি করে দরজা। বদল হয়েছে বাসের রঙেরও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় নীল–সাদা রঙে সেজে উঠেছে বাস দুটি। বাসের দোতলায় থাকছে ১৭ আসন। লন্ডনের পর্যটনের জন্য ব্যবহৃত বাসের আদলে কলকাতার দোতলা বাসগুলোরও ছাদ–খোলা থাকছে। সেখান থেকেই কলকাতার রূপ দেখবেন সওয়ারিরা।
ছবি- ফেসবুক
ক্রমে এরকম আরও ১০টি দোতলা বাস কিনতে আগ্রহী পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম। ৯০ লক্ষ টাকা খরচ করে জামশেদপুরের সংস্থা ‘বেবকো’-কে দিয়ে বাস দু'টি তৈরি করানো হয়েছে।
ছবি- ফেসবুক
১৯২৬ সালে কলকাতায় প্রথম দোতলা বাস নামে। ওই বাস চলেছিল কালীঘাট থেকে শ্যামবাজার অবধি। দোতলা বাস দ্রুত শহরের গণপরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছিল। পরে কলকাতার ঐতিহ্যের সঙ্গে এই বাসের নাম জড়িয়ে যায়। দোতলা বাসে চড়ার উত্তেজনাই ছিল আলাদা। কিন্তু নব্বইয়ের দশক থেকে ক্রমশ গুরুত্ব হারাতে থাকে দোতলা বাস। ২০০৫ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই বাসের যাত্রা। তবে, নস্টালজিয়ার স্মৃতি উস্কে শহরের বুকে ফের দেখা মিলল দোতলা বাস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন