করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে কোনও সাক্ষীকেই হাজিরার নোটিস দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যেই যাঁদের তলব করা হয়েছে, তাঁদেরও হাজিরার দিন পিছনো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের এমনটাই খবর। একই পদক্ষেপ করেছে ইডি-ও। অতিমারি পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখেই সিবিআই-ইডি-র কলকাতা শাখার এই সিদ্ধান্ত।
জানা গিয়েছে, কলকাতার সিবিআই দফতরে ইতিমধ্যেই ১৬ জন অফিসার করোনা আক্রান্ত। ৫০ শতাংশ কর্মী হাজিরার ভিত্তিতে সেখানে কাজ চলছে। অনেক কর্মী আবার ওয়ার্ক ফ্রম হোমও করছেন। ইডি দফতরেও একই ছবি। যেহেতু এই দুই তদন্তকারী সংস্থার কর্মীরা এ হারে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, সেক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তিকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সবদিক চিন্তাভাবনা করেই আপাতত সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে কোনও সাক্ষীকেই হাজিরার নোটিস দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে, তদন্তকারী দুই সংস্থা সিবিআই-ইডি সূত্রে খবর, কোনও সাক্ষীকে এখনই তলব বা নতুন করে নোটিস পাঠানো না হলেও তদন্ত চলবে। যে সমস্ত মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে সেগুলি এগিয়ে নিয়ে যাবেন আধিকারিকরা। তবে আপাতত কোনও অভিযুক্তকেই হাজিরা দিতে হবে না সিজিও কমপ্লেক্সে। নতুন করে নোটিসও পাঠানো হবে না কারও কাছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন