Dumdum Manhole Accident: দমদম ম্যানহোল-কাণ্ডে প্রশাসনিক গাফিলতি এবং সমন্বয়ের অভাবকে কাঠগড়ায় তুলেছে পূর্ত দফতর। তবে ঘুরিয়ে সেই দুর্ঘটনার জন্য সেভেন ট্যাঙ্কস এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দায়ী করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে। ঘটনার দিন অভিশপ্ত ম্যানহোলের ঢাকনা খোলাই ছিল। এমনটাই পূর্ত দফতর রিপোর্টে উল্লেখ করেছে।
পাশাপাশি অভিযোগ, ওই ম্যানহোলকে শৌচাগার হিসেবে ব্যবহার করতেন স্থানীয়রা। পুরসভার তরফে বারবার সেই ঢাকনা বুজিয়ে দেওয়া হলে, ফের তা খুলে ফেলা হতো। কয়েক দফায় চুরিও হয়ে গিয়েছে কংক্রিটের সেই ঢাকনা। বারবার এই কাণ্ড ঘটায় যথেষ্ট বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে ছিল না। ফলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। এভাবেই কলকাতা পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কোর্টেই ঘুরিয়ে বল ঠেলা হয়েছে সেই অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে।
জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত সেভেন ট্যাঙ্কস এলাকা। ফলে শনিবার দুর্ঘটনার পর থেকেই পুরসভার গাফিলতির অভিযোগে সরব ছিলেন স্থানীয়রা। যদিও রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের। এই অভিযোগ করেই দায় সেরেছিল কলকাতা পুরসভা। পূর্ত দফতর আবার পাল্টা পুরসভার কোর্টে বলে ঠেলে বলেছিল, ম্যানহোল খোলা-বন্ধ রাখার তদারকির ভার স্থানীয় কাউন্সিলরের।
এই অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের আবহেই পূর্ত দফতরের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে স্থানীয়দের গাফিলতি এবং উদাসীনতাকে ঘুরিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। পাশাপাশি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে দুর্ঘটনার দিন খোলা ছিল সেই ম্যানহোল।যদিও দুর্ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম-সহ প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তারক সিংও।
তবে, রঞ্জন সাহার মৃত্যুর পর সেই ম্যানহোল স্থায়ীভাবে মেরামতি করেছে পূর্ত দফতর। শুক্রবার রাতে অটো চালক রঞ্জন সাহার সেই ম্যানহোলে পড়ে মৃত্যুর পর থেকেই দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছিল পুরসভা এবং পূর্ত দফতরের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন