সুপ্রিম কোর্টে ইতিহাস রচনা রয়েছে বৃহস্পতিবার। যৌনপেশার মতো আদিম পেশাকে অবশেষে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। পতিতাবৃত্তিকে পেশার মর্যাদা দেওয়ার জন্য দীর্ঘকাল ধরে লড়াই করছে এ দেশের বহু যৌনকর্মী। তাঁদের এই লড়াইয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। কিন্তু এতদিন পর লড়াইয়ে জয়ী হলেন যৌনকর্মীরা।
Advertisment
বাংলার যৌনকর্মীদের এই পেশার স্বীকৃতির লড়াইয়ে সহযোদ্ধা হয়েছিল যৌনকর্মীদের নিয়েই তৈরি সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি। যাঁর প্রাণপুরুষ ডা. স্মরজিৎ জানা। কিন্তু গতবছর কোভিডের ছোবল প্রাণ কেড়েছে তাঁর।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার সোনাগাছি, হাড়কাটা গলি, কালীঘাট এবং বাংলার অন্যান্য অঞ্চলে পতিতাপল্লির মহিলাদের নিয়ে কাজ করেছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা-পেশার স্বীকৃতি-অধিকার নিয়ে লড়াই করেছেন। আজ তাঁরও লড়াইয়ের জয় হল। কিন্তু তা তিনি দেখে যেতে পারলেন না।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট অন্য পেশার মতো যৌনপেশাকেও বৈধ বলে মান্যতা দিয়েছে। পাশাপাশি এই পেশা নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের জন্যও বেশ কিছু গাইডলাইন জারি করেছে। সেগুলি মানতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
শীর্ষ আদালতের রায়ের পর সারা দেশের মতো বাংলাতেও যৌনকর্মীদের মধ্যে যুদ্ধজয়ের উচ্ছ্বাস। শুক্রবার সোনাগাছিতে দুর্বারের মুখ্য কার্যালয়ের সদস্যরা এদিন অকাল হোলিতে মাতেন। আবির খেলে তাঁরা উৎসবের মেজাজে আনন্দ করেন। "যৌনকর্মীদের কাছে এটা যুদ্ধজয়ের শামিল, এতদিনের লড়াই সার্থক হল", বলছেন দুর্বারের সদস্যরা। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে এদিন নিজেদের মধ্যে মিষ্টিমুখ করেন।