বাপের বাড়ি থেকে এবার মা দুর্গার শ্বশুর বাড়ি ফেরার পালা। আজ বিজয়া দশমী। বেলা বাড়তেই শুরু হয়ে যাবে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব। নিমতলা , জাজেস ঘাট, বাজে কদমতলা, দই ঘাট সহ প্রস্তুতি সম্পন্ন কলকাতায় গঙ্গায় ১৭টি ঘাটে। আনা হয়েছে ক্রেন। পৌঁছে গিয়েছেন, পুরকর্মী , বিশাল সংখ্যায় পুলিশ বাহিনী। কোভিড বিধি মেনে আগামী চারদিন দুর্গা নিরঞ্জন পর্ব সুসম্পন্ন করাই এখন চ্যালেঞ্চ প্রশাসনের
নবান্নের নির্দেশ মেনে আগামী চারদিন প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাবে। আজ, শুক্রবার বি,র্জনের প্রথম দিন বাড়ির ও ছোট বারোয়ারি পুজোগুলির প্রতিমা বিসর্জন হবে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকরা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে মনে করছেন যে, শনিবার বিসর্জনের সংখ্যা কম হতে পারে। তবে রবিবার সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি থাকবে। সোমবার বারোয়ারি পুজোর বড় প্রতিমা বিসর্জন হবে।
দূষণবিধি মাথায় রেখে কলকাতার ১৭টি ঘাটের মধ্যে দই ঘাট সহ বেশ কয়েকটিতে হোস পাইপের ব্যবহার হবে। প্রতিমা একবার গঙ্গার জলে নিরঞ্জন করেই তা ক্রেনের সাহায্যে উঠিয়ে নেওয়া হবে। এর পর তা হোস পাইপের জলের মাধ্যমে গলিয়ে দেবেন পুরকর্মীরা।
বিসর্জন পর্ব মসৃণ করতে গঙ্গার ঘাটগুলিতে মোট ৩ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়ের থাকবেন। কাজ করবেন ২ হাজারের বেশি পুরকর্মী ও আধিকারিক। গঙ্গাবক্ষে স্পিড বোট ও ঘাটে ঘাটে ওয়াচ টাওয়ারে নজরদারি চলবে। থাকবে রিভার ট্রাফিক গার্ড ও বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। পুজো উদ্যোক্তাদের নির্দিষ্ট ২ জনকে ঘাট চত্বরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। প্রতিমার জন্য গাড়ির সংখ্যাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে প্রশাসন। প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসা ব্যক্তিদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ডিজে, মাইকের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গঙ্গার ঘাটগুলির পাশাপাশি কলকাতা পুর এলাকার বেশ কয়েকটি পুকুরকেও প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে, হরিদেবপুরের ইটখোলা পুকুর, গড়িয়ার পাটুলি পুকুর, যাদবপুরের লায়েলকা পুকুর, সরশুনা ঝিল, মুকুন্দপুর পুকুর।
আরও পড়ুন- দশমীতেও ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, কেমন থাকবে উত্তরের আবহাওয়া?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন