Advertisment

কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞায় বিভ্রান্তি, প্রথা মেনেই শুরু গঙ্গায় বিসর্জন

"কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সেরকম স্পষ্ট ধারণা আমার নেই। নির্দেশিকার কথা শুনেছি। গঙ্গায় বিসর্জন আম বাঙালির কাছে একটা মিথ, একটা সেন্টিমেন্ট। সারা বছরের প্রতীক্ষা এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। নির্দেশিকা মানছি না, মানব না।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
durga puja 2019 visarjan

প্রথা মেনেই শুরু হলো বিসর্জন। ছবি: শশী ঘোষ

গঙ্গা বা উপনদীতে প্রতিমা বিসর্জনের কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছেন কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা। তবে দীর্ঘকালের এই রীতি বন্ধ করা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন অধিকাংশ দুর্গাপুজোর কর্মকর্তারা। তাঁদের কাছে কোনও নির্দেশ আসে নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার দশমী পুজোর পর প্রথা মেনেই গঙ্গায় শুরু হয়েছে বিসর্জন। সুষ্ঠুভাবে বিসর্জনের জন্য কলকাতা পুলিশ, পুরসভা ও রাজ্য সরকারের তরফে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Advertisment

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ বলা হয়েছে, গঙ্গা বা উপনদীতে দূষণ রোধে প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে না। যদিও এক্ষেত্রে দশেরা-সহ অন্য কয়েকটি পুজোর কথা বলা হয়েছিল, দুর্গাপুজোর উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু এই নিয়ে একটা সংশয় তৈরি হয়েছে। যদি কোনও প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়, তাহলে ৫০ হাজার টাকা ফাইন দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সহ ১১টি রাজ্যে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তবে রাজ্য এই নির্দেশিকা প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেনি। এই নির্দেশিকার মাঝেই মঙ্গলবার রীতি মেনে দুর্গা প্রতিমা গঙ্গায় নিরঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে।

৮৫ বছরে পড়েছে হাতিবাগানের দুর্গাপুজো। বরাবর বিসর্জন করা হয় শোভাবাজার ঘাটে। হাতিবাগান পুজো কমিটির পক্ষে সঞ্জীব সাহা বলেন, "কেন্দ্রীয় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সেরকম স্পষ্ট ধারণা আমার নেই। তবে নির্দেশিকার কথা শুনেছি। গঙ্গায় বিসর্জন আম বাঙালির কাছে একটা মিথ, একটা সেন্টিমেন্ট। সারা বছরের প্রতীক্ষা এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এমন নির্দেশিকা মানছি না, মানব না।" তিনি আরও বলেন, "প্রতিমা নিরঞ্জনের পর যাতে দূষণ না ছড়ায় তার ব্যবস্থা তো রয়েছে। এমন নির্দেশিকা হলে মানুষ রুখে দাঁড়াবে। ধর্ম নিয়ে ছেলেখেলা ঠিক নয়।"

কাশী বোস লেন পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌমেন দত্ত বলেন, "গঙ্গার দূষণ রোধে রাজ্য সরকার, পুরসভার সঙ্গে দুর্গাপুজো কমিটিও যতটা সম্ভব ব্যবস্থা নেয়। প্রতিমায় পরিবেশ বান্ধব রঙ ব্যবহার করা হয়। যাতে জলে দূষণের মাত্রা কম হয়। বিসর্জনের পর পরই ঠাকুরের কাঠামো তুলে নেওয়া হয়। যেভাবে বিসর্জন হয় সেভাবেই হবে। দুর্গাপুজোর রীতি বা প্রথা মানতেই হবে।" পুজোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেভাবে কেন্দ্রীায় সরকার "নাক গলাচ্ছে", তা ঠিক নয় বলে সৌমেনবাবু মনে করেন।

দুর্গাপুজোর ঠিক আগে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই নির্দেশ যথেষ্ট ধোঁয়াশা তৈরি করে। এর আগে কলকাতার দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে জারি করা আয়করের নোটিশ নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার থেকে গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে বিসর্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুজো কার্নিভালের পর আর এক দফা বিসর্জন হবে।

kolkata news
Advertisment