UNESCO Durga Puja: কলকাতার দুর্গাপুজোয় ইউনেস্কোর স্বীকৃতিকে উদযাপন করতে বুধবার পথে নামল তিলোত্তমা। ইতিমধ্যে এই পুজোকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ওই সংস্থা। সেই আনন্দোৎসবের স্বীকৃতিকে উদযাপন করতে এদিন পথে নামলেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। অকাডেমি অফ ফাইন আর্টস থেকে ডরিনা ক্রশিং পর্যন্ত হওয়া এই রঙিন পদযাত্রায় জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতোন।
Advertisment
ঢাকের তালে পা দুলিয়ে এই দুর্গাপুজোর স্বীকৃতিকে আপন করে নিলেন আট-আশি সব বয়সীরা। শুধু পুজো উদ্যোক্তা নয়, এই মিছিলে হাঁটেন প্রতিমাশিল্পী, থিম মেকার, আলোক শিল্পী থেকে গোটা শারদোৎসব আয়োজনের সব কলাকুশলীরা। এদিকে, এই পদযাত্রার আয়োজনে বহুদিন ধরেই সামাজিক মাধ্যমে প্রচার শুরু হয়। সমাজের সব অংশকে এই স্বীকৃতি উদযাপনে সামিল হতে আহ্বান জানানো হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য ১৫ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া অ্যাট ইউনেসকো-র টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে ‘সিটি অফ জয় কলকাতার জন্য আনন্দের উদযাপন! দুর্গাপুজোকে ইউনেসকো’র মানবজীবনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে৷’ বাংলা ও বাঙালির অন্যতম পরিচয় বলা হয় শারদীয়া উৎসব বা দুর্গাপুজোকে৷ তিলোত্তমা কলকাতার রূপে যেন আলাদা মাত্রা যোগ হয় পুজোর ক’দিনে৷ দেখুন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব ফেসবুক পেজে শেয়ার করা সেই ভিডিও:
ইতিমধ্যে এই স্বীকৃতি পেয়ে উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেনি প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী। দু’জনেই ট্যুইট করে এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানান। গর্বের স্বীকৃতি বলে উল্লাস প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্যারিসে ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত হয়েছে ইন্টার গভর্নমেন্ট কমিটির ১৬তমঅধিবেশন। সেই অধিবেশনেই ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে ইউনেসকোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির তালিকায় যুক্ত করা হয়।
২০১৭ সালে কুম্ভ মেলা ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০১৬ সালে যোগচর্চাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে পঞ্জাবের ঐতিহ্যবাহী পিতল এবং তামার কারুকাজ সাংস্কৃতিক হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০১৩ সালে মণিপুরের সংকীর্তন অনুষ্ঠানের গানকে হেরিটেজের স্বীকৃতি দিয়েছি ইউনেসকো৷ এবার সেই তালিকায় উঠল বাংলার দুর্গাপুজো।