জুতো দিয়ে তৈরি হয়েছে দুর্গা মণ্ডপ। দমদম পার্ক ভারতচক্রের ভাবনা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এবার ওই ভাবনার প্রতিবাদ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সাফ জানিয়েছেন যে, "শৈল্পিক স্বাধীনতা" এর নামে মা দুর্গাকে অপমান করার মতো জঘন্য কাজ কোনওমতেই সহ্য করা হবে না। দেবীর বোধনের আগে মণ্ডপ থেকে জুতা সরাতে আয়োজকদের বাধ্য করার জন্য মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিবেরও হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
Advertisment
শনিবার টুইটারে বিরোধী দলনেতা দমদম পার্ক ভারতচক্রের মণ্ডপ সজ্জার ভাবনার বিরোধীতা করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'দমদম পার্কে একটি দুর্গাপূজার প্যান্ডেল জুতো দিয়ে সাজানো হয়েছে। "শৈল্পিক স্বাধীনতা" এর নামে মা দুর্গাকে অপমান করার এই জঘন্য কাজ সহ্য করা হবে না।' মণ্ডপে জুতোর প্রদর্শী বন্ধের জন্য ওই টুইটেই মুখ্যসচিব ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি। লিখেছেন, 'মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে আমার আহ্বান তাঁরা যেন এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন ও যেন ষষ্ঠীর আগে যেন মণ্ডপ থেকে জুতা সরিয়ে নিতে আয়োজকদের বাধ্য করেন।'
তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত প্রায় এক বছর ধরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। বিক্ষোভকারী কৃষকদের কথা মণ্ডপে সজ্জার ভাবনায় তুলে ধরেছেন দমদম পার্কভারতচক্রের পুজো উদ্যোক্তারা। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে হাওয়াই চটি। মণ্ডপের গায়ে ছোট ছোট কাগজ সাঁটানো হয়েছে, যাতে কৃষকদের নানা দাবি দাওয়া, লখিমপুরে কৃষক মৃত্যুও স্থান পেয়েছে।
এপ্রসঙ্গে মণ্ডপ শিল্পী অনির্বাণ দাস বলেছেন, 'আমি আমার কাজ শেষ করে ক্লাবকে মণ্ডপ তুলে দিয়েছি। আমার এর বাইরে কোনও কিছু বলার নেই।' ওই পুজো কমিটির সঙ্গে যুক্ত এক উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, মন্দিরের বাইরে জুতো খুলেই প্রবেশ করতে হয়। এখানেও মণ্ডপের বাইরে রয়েছে জুতোর ইনস্টলেশন। কোনওভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়নি।
উল্লেখ্য, জুতো দিতে তৈরি মণ্ডপ নিয়ে আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি। দমদম পার্ক ভারতচক্র পুজো কমিটিকে আইনি নোটিস ধরিয়েছেন এক আইনজীবী।