উমাকে আনা হল না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের। তুমুল বিতর্কের জেরে চাপের মুখে বন্ধ হয়ে গেল মেডিক্যাল কলেজের দুর্গাপুজো। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক আক্রমণ, আর কর্তৃপক্ষের চাপের কাছে নতিস্বীকার করলেন মেডিক্যালের পড়ুয়ারা। প্যান্ডেল বাঁধা হয়ে গিয়েছিল। শুধু প্রতিমা আসা বাকি ছিল। কিন্তু কোভিড হাসপাতালের ভিতরে দুর্গাপুজো নিয়ে বিতর্কের জেরে আয়োজন বন্ধ করতে বাধ্য হলেন উদ্যোক্তারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেস বিবৃতি দিয়ে মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন, "মা আসছেন না মেডিক্যালে। এতদূর এগোনোর পরেও (প্যান্ডেল, প্রতিমা সব কিছুই প্রস্তুতি শেষপর্বে ছিল) আমরা সমস্ত 'সচেতনতার' দায় মাথায় নিয়ে পুজো ও আনুষঙ্গিক সব পরিকল্পনা বন্ধ করছি। আমরা আমাদের কলেজ, হাসপাতাল তথা চিকিৎসক সমাজের প্রতি কোনও অযথা মিথ্যা অভিযোগ-সমালোচনার কারণ হতে চাই না।" প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই রাজ্য সরকার উৎসবের মরশুমে জরুরি পরিষেবা যেমন, ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ-সহ অন্যান্যদের ছুটি বাতিল করেছে। পুজোর সময়ে হাসপাতালে ডিউটিই করতে হবে চিকিৎসক-নার্সদের। তবুও পুজো করে খানিকটা প্রাণের আরাম পেতে চেয়েছিলেন মেডিক্যালের ডাক্তাররা। কিন্তু শেষপর্যন্ত পুজোর আয়োজন থেকে সরে আসতে বাধ্য হলেন উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন কোভিড হাসপাতালে দুর্গাপুজো! জোর বিতর্কে সরগরম মেডিক্যাল কলেজ
উদ্যোক্তারা অবশ্য বলছিলেনন, সাত মাস ধরে দিনরাত পরিশ্রম করে ক্লান্ত কোভিড যোদ্ধারা। দীর্ঘদিন অনেকেই বাড়ি যাননি। পুজোর সময় তাই মনটা তাঁদের বাড়িতেই পড়ে। তাই পুজোর চারদিন একটু উৎসবের আমেজ পেলে মন ভাল থাকবে বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই এমন আয়োজন। এই কারণেই অল্প পরিসরে মেডিক্যাল কলেজের বয়েজ হস্টেলের প্রাঙ্গনে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল। মহাষষ্ঠীর দিন রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে মায়ের বোধন করার কথা ছিল। প্যান্ডেল থেকে দেওয়া হত মাস্ক-স্যানিটাইজার। কিন্তু সেসব পরিকল্পনায় জল ঢেলে পুজোর আয়োজন বন্ধ করে দিলেন আয়োজকরা। আর এই কারণে মেডিক্যাল কলেজের অধিকাংশ জুনিয়ার ডাক্তার হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন