ঝড়ের তাণ্ডবলীলায় বিধ্বস্ত অবস্থা নিউটাউনের। আম, জাম, লিচু, বট সহ একাধিক নামীদামি গাছ পড়ে গিয়েছে। ঝড়ের ঝাপটায় লন্ডভন্ড হয়েছে সাজানো গোছানো ইকোপার্ক। এমনকী ইকো পার্কের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান তথা গোলাপ বাগানও তছনছ হয়ে গিয়েছে। সুসজ্জিত নিউটাউনের এই করুণ দশায় বিমর্ষ হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন। তবে একটাই স্বস্তি, রক্ষা পেয়েছে বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের প্রতিলিপি।
ঝড় শেষে মধ্যরাত থেকে সহ আধিকারিকদের সঙ্গে নিউটাউনের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছেন দেবাশিষবাবু। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা শুরু করেন তিনি। সেদিন থেকেই গাছ রক্ষার কাজ শুরু হয়েছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় , "বুধবার মধ্যরাত থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল রাস্তা পরিষ্কার করে দেওয়া। যাতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাড়ি চলাচলে কোনো অসুবিধা না হয়, অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করতে পারে"।
দেবাশিষবাবু বলেন, গোটা নিউটাউন চত্বরে ছোট বড় মিলিয়ে কয়েক হাজার গাছ উপড়ে গিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২,৪০০ টি গাছ ইকোপার্কের। জানা যাচ্ছে, গোটা নিউটাইনে প্রায় ১১ হাজার গাছ পড়ে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, "এরই মাঝে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেছি। যে গাছ গুলির ক্ষতি হয়েছে, সেগুলি নতুন করে বসানো শুরু করেছি। বাঁশ দিয়ে খুঁটি তৈরি করে, তার ঘেরাটোপে গাছ গুলিকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি"।
কত টাকার ক্ষতি হয়েছে? এই প্রশ্নে দেবাশিষবাবু বলেন, টাকার হিসেব করা সম্ভব হয়নি এখনও। আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে বিশেষ পদ্ধতিতে পুনঃস্থাপন করার চেষ্টা করছি। ইকোপার্কের ২৫ শতাংশ গাছকে পুনঃস্থাপন করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞের দল।
জানা যাচ্ছে, পরবর্তীকালে গাছ লাগানোর পরিকল্পনার সময় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ সহ আগামী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যাতে কিছুটা হলেও ঝড়ের মোকাবিলা করতে পারে গাছ।