বাংলায় ভোটের মুখে সারদা কাণ্ডে তৎপরতা বেড়েছে ইডি-সিবিআইয়ের। কয়েক দিন আগেই মানস ভুঁইয়াকে চিট ফান্ড কাণ্ডে জেরা করার জন্য নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। এবার তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আগামী সপ্তাহে তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। এই নোটিস ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর বেড়েছে। মদন মিত্র নিজে অবশ্য নোটিসের কথা অস্বীকার করেছেন।
প্রসঙ্গত, সারদা চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হিসাবে দীর্ঘ সময় জেলে ছিলেন প্রাক্তন পরিবহণ ও ক্রীড়া মন্ত্রী। পরে জেলমুক্ত হয়ে তিনি রাজনীতির ময়দানে ফেরেন। গত ২০১৯ সালে ভাটপাড়ায় তৃণমূল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবন সিংয়ের কাছে হেরে যান তিনি।
তবে রাজনীতি বা তৃণমূল কংগ্রেস, কোনওটাই ছাড়েননি তিনি। বরং দলনেত্রীর আস্থা অর্জন করেছেন মদন। শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর পরিবহণ দফতরের সরকারি কমিটির চেয়ারম্যান হন তিনি। তারপর একুশের ভোটে মদনকে তাঁর পুরনো কেন্দ্র কামারহাটিতে প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু যে সময়ে তিনি ভোট প্রচারে ব্যস্ত, তখনই ছন্দপতন। সারদা কাণ্ডে আগামী ১৮ মার্চ সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে তলব করেছে ইডি। এর মধ্যে অনেকেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেখছেন। তবে নোটিসের কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা। তবে সূত্রের খবর, ১৮ তারিখ তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তে গতি বাড়িয়েছে সিবিআই ও ইডি। সারদা-মামলায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে এর মধ্যে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার আইকোর মামলাতেও তদন্তে নড়েচড়ে বসেছে সিবিআই। আইকোর মামলার তৃণমূলের সবং কেন্দ্রের প্রার্থী মানস ভুঁইয়াকে তলব করেছে সিবিআই। অন্যদিকে সারদা মামলায় ১৫ই মার্চের মধ্যে শিল্পী শুভাপ্রসন্নকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি।