মেলা-খেলা, রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল চলছে, এমনকী বাজার-দোকানপাটও খোলা। কিন্তু বন্ধ স্কুল। রাজ্যের বিভিন্ন মহল থেকে স্কুল-কলেজ খোলার দাবি জোরদার হচ্ছে দিন কে দিন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও এই দাবিতে সুর চড়াচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের তরফে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি শুরু হল আজ, সোমবার। এদিন কর্মসূচির সূচনায় এসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, "স্কুল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।"
এদিন ব্রাত্য বলেন, "রাজ্য সরকার স্কুল খোলারই পক্ষে। শিশুদের ক্ষতি না করে, সংক্রমণ না বাড়িয়ে স্কুল খোলার পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। স্কুল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা বা উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন। যাতে স্কুল খোলার পর আবার বন্ধ করে দিতে না হয়। সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পক্ষে।"
করোনা অতিমারির জেরে মাঝে বড়দের স্কুল খুললেও ছোটরা প্রায় দুবছর স্কুলমুখো হয়নি। এবার তাদের জন্য পাড়ায় পাড়া স্কুলের ব্যবস্থা করল রাজ্য শিক্ষা দফতর। প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের জন্য এই প্রকল্প। নাম পাড়ায় শিক্ষালয়। করোনাতঙ্কে ২ বছর বন্ধ প্রাথমিকের স্কুল। ক্লাসরুমের বন্ধ পরিবেশে ছোটদের পঠনপাঠন বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখে খোলা পরিবেশে নেওয়া হবে ছোটদের ক্লাস।
আরও পড়ুন স্কুল খোলার দাবিতে স্মারকলিপি জমা ঘিরে তুলকালাম, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি SFI কর্মীদের
এই প্রকল্পে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ক্লাস নেবেন স্কুলের শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষা সহায়করা। প্রায় ৮০ লক্ষ প্রাথমিক পড়ুয়ার সুবিধার্থে এই প্রকল্প। ২ বছর স্কুল থাকার জন্য খুদে পড়ুয়াদের জন্য বিকল্প ক্লাসের ভাবনা শিক্ষা দফতরের।