আগামী দিন দশেকের মধ্যেই শ্যামবাজার-এসপ্ল্যানেড রুটে ট্রাম চলাচল শুরু হতে পারে। রাজ্য পরিবহন দফতর সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
আমফানের ধাক্কায় একাধিক জায়গায় ট্রামের বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এমনকি সবক’টি রুটেই বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে ধাপে ধাপে মেরামতি শুরু হয়। কলকাতার মোট ছয়'টি রুটে বর্তমানে ট্রাম চলাচল করে। এর মধ্যে চারটি রুটে ইতিমধ্যেই পরিষেবা সচল হয়েছে।
পরিবহন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'পরিবহন দফতরের কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে শ্যামবাজার থেকে এসপ্ল্যানেড রুটের ওভারহেড তার মেরামতির মুখ্য কাজ শেষ হয়েছে। তবে, সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আগামী পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী দশ দনের মধ্যে ওই রুটে ট্রাম চলবে।'
কলকাতার ঐতিহ্য ট্রাম।
উল্লেখ্য, আমফানের পর টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ, রাজাবাজার-হাওড়া ব্রিজ, গড়িয়াহাট-এসপ্ল্যানেড ও হাওড়া-শ্যামবাজার রুটে বর্তমানে ঐতিহ্যের যান ট্রাম চলছে।
আরও পড়ুন: চালু ‘মমতার মমতা’ ক্যান্টিন, সস্তায় ভোজন
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন দফতরের আধিকারিকের কথায়, 'লকডাউন-আমফানের পর কোভিড স্বাস্থ্য বিধি বজায় রেখে টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ রুটে গত ১৪ জুন থেকে ট্রাম চলাচল শুরু হয়। এখন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ২৫ মিনিট অন্তর বিভিন্ন রুটে ট্রাম চলাচল করছে।' কলকাতায় শ্যামবাজার থেকে এসপ্ল্যানেড অত্যন্ত ব্যস্ত একটি রুট। এই পথে ট্রাম চলাচল শুরু হলে যাত্রীদের হয়রানি কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিধি মেনে প্রতিটি ট্রামকে ডিপোয় জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। কলকাতায় ১৮৭৩ সালে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়। ১৯০০ সালে বৈদ্যুতিক ট্রাম এলেও তার দু'বছর পর থেকে মহানগরে বাণিজ্যিকভাবে তার পরিষেবা শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে শহরে ট্রামের রুট কমেছে, তবে আরও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে দূষণহীন ও ঐতিহ্যের এই যানকে চলাতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন