কাজ শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভার নতুন প্রশাসনিক বোর্ড। শুক্রবার পুরভবনে প্রথম বৈঠক করে এই বোর্ড। কীভাবে পুরসভা পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এদিনের বৈঠকে। পুরসভা পরিচালনার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন বোর্ডের সদস্যরা। সভা পরিচালনা করেন চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখ্য, ৭ মে সাবেক নির্বাচিত কলকাতা পুরবোর্ডের মেয়াদ হয়ে গিয়েছে। এরপরই এই পুরসভা পরিচালনার জন্য ১৪ সদস্যের প্রশাসনিক বোর্ড নিয়োগ করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এই নিয়ে বিতর্কও দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মামলা হয়েছে হাইকোর্টেও। তবে হাইকোর্ট মামলা মুলতুবি রাখলেও বোর্ডকে আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে বলেছে।
জানা যাচ্ছে, মেয়র পারিষদদের দফতর অপরিবর্তিত রেখেই বোর্ডের সদস্যরা কাজ করবেন বলে এদিনের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। নতুন বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও সাবেক নির্বাচিত বোর্ডের ১৩ মেয়র পারিষদই রয়েছেন এই বোর্ডেও। সেক্ষেত্রে বোর্ডের সদস্যরা তাঁদের পুরনো দফতরই ফিরে পেলেন। অর্থাত্ মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তাঁরা নিজ নিজ দফতরই দেখ-ভাল করবেন।
এদিনের বৈঠকে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন প্রশাসনিক বোর্ড ঘোষণার পর একাধিক কাউন্সিলর প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁরা কী করবেন? করোনা মোকাবিলায় এই মুহূর্তে কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকায় কাজ করছেন। নাগররিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন। জানা গিয়েছে, কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যানরা কো-অর্ডিনেটর হিসাবে কাজ করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এলাকায় উন্নয়নের কাজ বহাল রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেবেন এই কো অর্ডিনেটররা। আগের মতোই তাঁরা পুরসভার সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখেই কাজ করবেন।
প্রশাসনিক বোর্ডের প্রথম সভায় স্থির হয়েছে, মেয়র পারিষদদের যেমন রিভিউ মিটিং হ'ত এক্ষেত্রেও তেমনই হবে। দুজন স্পেশাল কমিশনার ও একজন কমিশনারকে এই বোর্ডে সংযুক্ত করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে এদিনের সভায়। নির্বাচিত বোর্ড যে ভাবে পুরসভা পরিচালনা করত অনেকটা সেই ধাঁচেই কাজ করতে চাইছে এই বোর্ডও। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী নির্বাচিত বোর্ডের প্রথম সভা পর্যন্ত এই বোর্ড সক্রিয় থাকবে। করোনা অতিমারীর কারণেই পুর নির্বাচন স্থগিত রেখেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।