নারদ কাণ্ডে (Narada Sting Case) ধৃত চার নেতা-মন্ত্রীর জামিনে স্থগিতাদেশের পুনর্বিবেচনার আর্জি মামলার মধ্যেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল গড়িয়াহাট থানায়। বুধবার ভারতীয় দণ্ডবিধিন ১৬৬, ১৬৬এ, ১৮৮ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। একইসঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও এফআইআর দায়ের হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য লালবাজারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে লালবাজার থেকে গড়িয়াহাট থানার পুলিশকে জানানো হয়। যেহেতু অভিযোগকারী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য গড়িয়াহাট থানা এলাকার বাসিন্দা। তাই এই থানাতেই এফআইআর দায়ের হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে ১৬৬, ১৬৬এ ধারায় মামলা হয়। তার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ১৮৮ এবং ৩৪ নম্বর ধারা। একইসঙ্গে লকডাউনের মধ্যে কোভিড বিধি ভঙ্গ করে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে বলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলাও হয়েছে।
এদিকে, হাইকোর্টে শুরু নারদ মামলার শুনানি। সোমবার নিম্ন আদালতের জামিনের বিরোধিতায় করা সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট বলেছে, ‘জামিন হবে কিনা আমরা কেন সিদ্ধান্ত নেব? মানুষের চাপের অভিযোগ ছিল তাই জামিনে স্থগিতাদেশ দিয়েছি।' 'করোনাকালে জেলে রাখার দরকার আছে কি?’ সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে এই প্রশ্ন করে হাইকোর্ট। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে।