ফের শহর কলকাতায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। বুধবার সন্ধ্যায় বাগবাজার ব্রিজের কাছে বস্তিতে আগুন লাগে। উত্তুরে হাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অল্র কিছুক্ষণেই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এক ঘন্টার মধ্যেই বস্তির সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে যায়। এই বস্তির পাশেই রয়েছে মায়ের বাড়ির অফিস ঘর। সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে গিয়েছে অফিসের আসবাবপত্র। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা।
ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের ২৭টি ইঞ্জিন। তবে, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নেভাতে হিমশিম অবস্থা হয় দমকল কর্মীদের। যদিও দমকল জানাচ্ছে, আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে। পকেট ফারার নেভানোর কাজ চলছে।
ঘটনাস্থলে রয়েছে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। আগুনের জেরে ওই রাস্তায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ দিয়ে গিরিশপার্ক থেকে উত্তরমুখী যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রাস্তায় নামে ব়্যাফ।
আগুনের জেরে বস্তি থেকে প্রতিনিয়ত গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণেরও শব্দ শোনা যায়।
ঘটনার পর পুলিশ এলে স্থানীয়রা তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, খবর দেওয়ার বেশ কিছুটা পরে দমকল বাগবাজার বস্তিতে পৌঁছেছে। ফলে আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, 'আমি গঙ্গাসাগরে রয়েছি। কিন্তু খবর পেয়েই দফতরের ডিজির সঙ্গে কথা হয়েছে। দমকল কর্মীরা আগুন দ্রুত নেভাতে সবধরণের চেষ্টা করেছে বেশ কয়েজন দমকল কর্মী আহত হয়েছেন।' রাজ্যের নগরোন্নন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'ঘর হারানো মানুষগুলোকে এদিন রাতে স্থানীয় কমিউনিটি হলে রাখা হবে। সেখানেই তাঁদের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। আগামিকাল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পুনর্গঠনের কাজ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। '
কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন গৃহহীন বস্তির বাসিন্দারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন