শহর কলকাতায় ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই পরপর বেশ কয়েকটি দোকান। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। তবে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনও ঘটনার খবর মেলেনি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। ঠিক কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
শহরে ফের বিধ্বংসী আগুন। শুক্রবার ভোর রাতে চাঁদনি চকের একটি দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। ওই দোকান থেকেই পাশের দোকানগুলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। লাগোয়া বাড়িগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও দমতল। খবর দেওয়া বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদেরও। প্রথমে এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও দমকল কর্মীদের সহায়তায় আশেপাশের বাড়িগুলি থেকে সরানো হয় বাসিন্দাদের। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। দমকলকর্মীদের এই কাজে সাহায্য করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যে দোকানটি থেকে প্রথমে আগুন লাগে সেখানে পৌঁছে যান দমকলকর্মীরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলে। একে একে ঘটনাস্থলে আনা হয় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন।
আরও পড়ুন- Daily Horoscope, 20 May 2022: অর্থ ব্যয় করলে মুশকিলে পড়বেন কারা কারা? পড়ুন রাশিফল
তবে আগুন নেভাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে দমকলকর্মীদের। সাদা ধোঁয়া গলগল করে বেরোতে থাকায় নাজেহাল দশা হয় তাঁদের। মুখে মাস্ক পরে আগুন নেভানোর কাজ করতে থাকেন দমকলকর্মীরা। যে দোকানটিতে আগুন লাগে তাতে দাহ্য পদার্থ ঠাসা ছিল। সেই কারণেই দ্রুত আগুন ভয়াবহ আকার নেয় বলে দাবি দমকলের। আশেপাশের দোকানগুলিতে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় সমস্যা বাড়ে।
এরই পাশাপশি ঘিঞ্জি এলাকায় দমকলের গাড়ি ঢোকার ক্ষেত্রেও আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় কর্মীদের। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দমকলকর্মীদের। তবে অগ্নিকাণ্ডের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দমকল আধিকারিকরা।