তুবড়িআলোর উৎসবের মাঝেই শহরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক শিশু সহ দু'জনের। হরিদেবপুরে তুবড়ি ফাটাতে গিয়ে মৃত্যু হল সাত বছরের এক শিশুর। অন্যদিকে, তুবড়ির খোল গলায় বিঁধে মৃত্যু হল কসবার এক বাসিন্দার।
কালী পুজোর সন্ধ্যায় হরিদেবপুরের বাড়ির সামনেই বাজি পোড়াচ্ছিল আদি দাস। আতসবাজি দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছিল সে। ফুলঝুড়ির পাশাপাশি তুবড়িতে আগুনও দেয় আদি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথমবার আগুন দেওয়ায় তুবড়িটি না জ্বলায় ফের তাতে আগুন দিতে যায় শিশুটি। সেই সময়ই তুবড়িটি হঠাৎই ফেটে যায়। তুবড়ির খোলের একাংশ ছিটকে লাগে আদির গলায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে আদির গলা থেকে তুবড়ির খোলের একাংশ বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। শোকস্তব্ধ ঠাকুরপুকুর বিদ্যাসাগর সরণির মাজি আবাসন।
আরও পড়ুন: টালায় গড়াচ্ছে না বাসের চাকা, দীপাবলিতে আঁধারে বাস মালিক-কর্মীরা
অন্যদিকে, রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই তুবড়ি জ্বালাচ্ছিলেন কসবা কে এন সেন রোডের বাসিন্দা দীপকুমার কোলে (৪০)। তুবড়ির খণ্ডাংশ দীপকুমারের গলাতেও বিঁধে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই দীপকুমার কোলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কসবা এলাকায় একটি বইয়ের দোকান রয়েছে দীপকুুমারের।
শব্দদানবের তাণ্ডব রুখতে কালীপুজো ও দীপাবলির আগে শহরজুড়ে প্রচার চালিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। কিন্তু, রবিবার রাত বাড়তেই দেখা গেল, ছবিটা অন্যন্য বছরের থেকে খুব একটা পাল্টায়নি। কলকাতার অনেক জায়গা থেকেই শব্দবাজি নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দফতরে। জানা গিয়েছে, আইন ভাঙায় গতকাল রাতে প্রায় সাড়ে সাতশো জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় নিষিদ্ধ বাজি।