শুক্রবার নারদ মামলার শুনানিতে চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবং গৃহবন্দি অবস্থায় বেশ কিছু নিয়ম মানার নিদান দিয়েছে হাইকোর্ট। একনজরে দেখে নিন কী কী নিয়ম মানতে হবে চার নেতা-মন্ত্রীকে-
- সব কাজই করতে হবে অনলাইনে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে।
- আলোচনা করতে হবে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে।
- চারজনের সঙ্গে কোনও সরকারি আধিকারিক দেখা করতে পারবেন না।
- সমস্ত ভিডিও কলের বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত রাখতে হবে।
- প্রশাসনিক কাজ ছাড়া অন্য কাজে ভিডিও কল করা যাবে না।
- কোনও বিশেষ দরকারে কেউ দেখা করতে এলে, কতক্ষণ দেখা করছেন, কী কারণে আসছেন, সেটি বিস্তারিতভাবে নথিবদ্ধ থাকবে।
- বাড়ির প্রবেশ পথে সিসিটিভি থাকতে হবে। না থাকলে তার ব্যবস্থা করতে হবে জেল কর্তৃপক্ষকে।
- কে আসছেন, যাচ্ছেন, সমস্ত নজরদারিতে রাখতে হবে। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা নজর রাখবেন।
এদিকে, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে সন্ধেয় প্রেসিডেন্সি জেল থেকে চেতলার বাড়িতে ফিরলেন ফিরহাদ হাকিম। পুলিশের গাড়িতে করে তিনি ঘরে ফেরেন। কিন্তু বাকি তিন জন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আপাতত হাসপাতালেই রাখা হচ্ছে মেডিক্যাল বোর্ডের নির্দেশে। হাইকোর্টের নির্দেশে এখন গৃহবন্দিই থাকতে হবে ফিরহাদ হাকিমকে। রায়ের কথা জানার পরে তাঁর বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম বলেন, ‘বাবার হাতে পেন্সিল দিয়ে শিসটা ভেঙে দিয়েছে।’
একইসঙ্গে এদিনই বাবার জামিনের আবেদনের শুনানি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন প্রিয়দর্শিনী। সিবিআই যাতে এই মামলায় নতুন করে কোনও আবেদন জানিয়ে একতরফা শুনানি না করতে পারে তার জন্য এই ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে। পাশাপাশি, নারদ মামলার শুনানির জন্য হাইকোর্টে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। পাঁচজন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত এই বৃহত্তর বেঞ্চ আগামী সোমবার সকালে সবকটি মামলার শুনানি করবেন।