আমফানে বিধ্বস্ত শহর কলকাতা এখনও অচেনা। এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি মহানগরের বহু অঞ্চল। আমফানের তাণ্ডবলীলায় শহরের রাজপথে ভেঙে পড়েছে অগণিত গাছ এবং ইলেকট্রিকের খুঁটি। বন্ধ হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, কোথাও এখনও জমে জল। যদিও এক সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে শহর সম্প্রতি এই আশ্বাস দিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে পুরসভা পুরোদমে কাজ করলেও শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে তৎপর নয় সিইএসসি, রবিবার সেই সুর শোনা গেল পুরপ্রধানের গলায়।
রবিবার শহরের পুরসভার কাজ পরিদর্শনে এসে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান যে কলকাতাকে স্বাভাবিক রাখতে ১৭ হাজার কর্মী নিয়ে কাজ করছেন। ববি হাকিম বলেন, "এই মুহুর্তে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনে রয়েছে গোটা বাংলা। কর্মীদের এসে কাজ করাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু এই সংকটের মধ্যেই পুরসভার ১৭ হাজার কর্মী একযোগে দিন রাত কাজ করে কলকাতাকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরনোর কাজ করে চলেছেন। আমি তাঁদের জন্য সত্যিই আজ গর্ববোধ করছি।"
আরও পড়ুন: কলকাতাকে ছন্দে ফেরাতে অনুজ ববির পুরনিগমকে পরামর্শ অগ্রজ সুব্রতর
তবে তিনি এও বলেন যে, "এখনও প্রচুর গাছ পড়ে রয়েছে শহরজুড়েই। এগুলি সরাতে একটু তো সময় লাগবে। শহরের মূল যে রাস্তাগুলোয় গাড়ি চলাচল করে সেখানে যে গাছ পড়ে রয়েছে বা জলনিকাশীর সমস্যা যদি কিছু থেকে থাকে সেদিকে আগে নজর দিয়েছি। আজকের মধ্যে যতটা সম্ভব কাজ এগিয়ে রাখছি। বেশ কিছু এলাকায় জল জমে আছে। খবর পেয়েছি। প্রায় ১৭টা পাম্প লাগিয়ে সেই জল নামানোর কাজ চলছে। সাতদিনের মধ্যে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আবার রিবিল্ডিংয়ের কাজে হাত দেব আমরা।"
যদিও শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এখনও তৎপর নয় সিইএসসি, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথায় সেই ক্ষোভই শোনা গেল মেয়রের কন্ঠে। ফিরহাদ বলেন, "বিদ্যুৎ নেই বলেই মানুষ বিক্ষোভ করছেন। গাছ পড়ে রয়েছে বলে সিইএসসি কাজ করতে এটা বলতেই পারবে না। আমি ওদের এটাও বলেছি যে কোথায় কোথায় গাছ পড়ে আছে বলুন আমি এক্ষুনি লোক দিয়ে সেই জায়গা পরিষ্কার করে দেব। একটা জায়গাও নেই যে গাছ পড়ে আছে বলে সিইএসসির লাইন বন্ধ আছে।"
পুরপ্রধানের সাফ বক্তব্য, "সিইএসসির নিজেদের লোকবল কম আছে তাই কাজ করতে পারছে না বলে সেটা এভাবে বলছে। আমরা বেশ কিছু জায়গায় জলনিকাশী ব্যবস্থা ঠিক রাখতে জেনারেটর বসিয়ে কাজ করছি। সিইএসসি যেদিন লাইন দেবেন সেদিনই বাকি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন আমরা চালু করে দেব। সিএসসির আরও লোক বাড়ানো উচিত। আমরা থানায় থানায় বলে রেখেছি তাঁদের কর্মীদের যাতে কোনওরকম অসুবিধার মুখোমুখি পড়তে না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে। আমরা চাই ১০০ শতাংশ লোক নিয়ে কাজ করুক সিইএসসি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন