কোভিড পরিস্থিতিতে কলকাতাবাসীকে সেবা দিতে পারবেন না বলে গ্রেফতারের পর কেঁদে ফেলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত বহু টালবাহানার পর নারদ মামলায় গৃহবন্দি দশা কেটেছে। শুক্রবারই মিলেছে জামিন। বিলম্ব না করে এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কাজে মেনে পড়েছেন কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার রাতেই ৭৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছেন তিনি। জানা গিয়েছে শনিবার হাইড রোড ধরে তারাতলা পর্যন্ত রাস্তা পরিদর্শন করবেন তিনি। দুপুরে যোগ দেবেন ‘টক টু কেএমসি’ অনুষ্ঠানেও। তার আগে বেলা ১২টা নাগাদ কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি ঘুরে দেখেছেন।
আমফান বা আগে কোভিড পরিস্থিতিতে রাস্তায় দেখা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিমকে। মানুষের নানা সমস্যার সমাধান করেছেন তিনি। কিন্তু এবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় তাঁকে দেখা গেল না। থাকতে পারলেন না কলকাতাবাসীর পাশে। এপ্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান বলেন, 'আমি অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিলাম। তবে রাস্তায় মেনে কাজ করতে পারিনি। তবে আমার হৃদয় সবসময় মানুষের কাজের জন্যই ছিল।'
আরও পড়ুন- করোনা টিকায় GST ছাড় দিতে রাজি নয় কেন্দ্র, বিরোধিতা একাধিক রাজ্যের
নারদ মামলায় গত ১৭ মে মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম সহ চার হেভিওয়েট নেচা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। স্বাভাবিকভাবেই কোভিড পরিস্থিতিতে পাঁচ বছরের পুরনো নারদ-মামলা রাজ্য রাজনীতিতে চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন- Coronavirus India: সুস্থ হচ্ছে দেশ, ১ লক্ষে নামল করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা
শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ ফিরহাদ হাকিমদের শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে। তারপরই কাজে মেনে পড়েন কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। করোনা-ইয়াশের মত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কলকাতা তথা রাজ্যবাসীর কাছে পরিষেবা পৌঁথে দেওয়াই এখন তাঁর মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন