Advertisment

বাংলার উচ্চপদস্থ আমলার পরিবারেই করোনা, উঠছে তদন্তের দাবি

আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই দফতরের আধিকারিক ও কর্মীদের মধ্যে। বুধবাবর গোটা নবান্ন জুড়ে 'স্যানিটাইজেশন' প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
corona in kolkata

অলঙ্করণ-অভিজিত বিশ্বাস।

করোনা প্রতিরোধে রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দফতর দিনরাত এক করে কাজ করছে। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটের রাজারহাট ক্যাম্পাসে নিমেষের মধ্যে প্রস্তুত কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, দর্শনীয় স্থান-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের উচ্চপদস্থ আমলার পরিবার থেকেই। এ ক্ষেত্রে গাফিলতি ছিল বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ। এমনকী সাধারণ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি ও কর্মীদের একাংশও মনে করেন, এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

Advertisment

এ যেন বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নবান্নে ঘনঘন বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যকে কীভাবে করোনামুক্ত রাখা যায় তা নিয়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা। এরমধ্যে এমন ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ কর্তাদের একাংশ হতবাক। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, ওই আধিকারিকের গাফলতি নিয়ে।

১৫ মার্চ ওই উচ্চপদস্থ আমলার ছেলে লন্ডন থেকে কলকাতায় ফেরেন। সূত্রের খবর, ৬ মার্চ যে পার্টিতে তিনি নাচ করেন সেখানে করোনা আক্রান্ত বন্ধু-বান্ধবীরা ছিলেন। কলকাতায় ফেরার পর পরিবারের সকলের সঙ্গেই মেলামেশা করেন আক্রান্ত। এদিকে, যাঁরাই বিদেশ থেকে আসছেন, দমদম বিমানবন্দর থেকে তাঁদের পাঠানো হচ্ছে রাজারহাটে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে বেলেঘাটা আইডি-তেও। এক্ষেত্রে ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য দুবার বলা হয়েছিল বলে খবর। তবুও তিনি তা উপেক্ষা করেছেন। যদিও আরেক পক্ষের দাবি, কলকাতা বিমানবন্দরে পরীক্ষার সময় তাঁর কোনও উপসর্গ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এদিকে, চিকিৎসা বা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে হাজির না হলেও ওই যুবক দু'দিন ধরে ঘোরা-ফেরা করেছেন অন্যত্র। তাঁর মা কর্মস্থলেও গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এর ফলে সেই অফিসের কর্মীরা ওই ঘরে কাজ করতেও চাইছেন না। দফতরের ফাইল কেউ ধরতেও চাইছেন না। আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই দফতরের আধিকারিক ও কর্মীদের মধ্যে এবং বুধবাবর গোটা নবান্ন জুড়ে 'স্যানিটাইজেশন' প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। সরকারি মহলেই প্রশ্ন উঠেছে, এক উচপদস্থ আমলা কী করে এই ধরনের ঘটনা ঘটালেন। কেন বিদেশ থেকে আসার পর চিকিৎসার ব্য়বস্থা করেননি।

উল্লেখ্য, মহামারী আইনে পরিস্কার বলা হয়েছে, কারও গাফিলতিতে সংক্রমণ ছড়ালে জেল ও জরিমানা দুটোই হতে পারে। এমনকী এ জন্য অন্য কারও শরীরে মহামারী ছড়ালে তাঁর চিকিসা ও ক্ষতিপূরণের জন্য অর্থ দিতে হবে অভিযুক্তকে। এই প্রেক্ষিতেই রাজ্য প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ লন্ডন ফেরত যুবকের ঘটনার যথোপযুক্ত তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন।

coronavirus corona
Advertisment