তফশিলিদের জন্য পাকা বাড়ির তৈরির ক্ষেত্রে এবার ড্রোন দিয়ে সার্ভে করবে রাজ্য সরকার৷ বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সরকারি প্রকল্পে কারচুপি রুখতে তাঁর সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
তফশিলি জাতির মানুষজনের পাশে আছে রাজ্য সরকার৷ বুধবার নবান্ন থেকে আরও একবার সেই বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তফশিলি জাতির মানুষজনের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার নানা প্রকল্প চালু করেছে৷ আগামী পাঁচ বছরে তফশিলি পরিবারগুলির জন্য কুড়ি লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার, এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে সরকারি এই প্রকল্পে যাতে কোনওভাবে কারচুপি না হয় সেব্যাপারে সচেষ্ট রাজ্য সরকার৷ প্রকৃত উপভোক্তাকে খুঁজে বের করতে প্রয়োজনে অত্যাধুনিক ব্যবস্থার সাহায্য নেবে রাজ্য সরকার৷
আমফানের ত্রাণ বিলি থেকে শুরু করে লকডাউনে রেশন বণ্টন ইস্যুতে পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল৷ অনেক ক্ষেত্রেই শাসকদলের নেতা-কর্মীদের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে৷ তৃণমূলের নেতাদের মদতে সরকারি প্রকল্পে কারচুপি হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে৷ যা নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের৷ এমনকী এই বিতর্কের জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত৷
আরও পড়ুন- নার্সিংয়ের ট্রেনিং নিলেও চাকরি হয়নি কতজনের? খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী
এবার একের পর এক ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেও সেকথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছরে তফশিলি পরিবারগুলির জন্য কুড়ি লক্ষ নতুন বাড়ি তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার৷ তবে প্রকৃত উপভোক্তা খুঁজতে প্রয়োজনে ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এপ্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তফশিলি জাতিদের জন্য বিশ লক্ষ ঘর করব৷ মাটির বাড়ি যাঁদের তাঁদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে৷ ড্রোন দিয়ে মাটির বাড়ির সার্ভে হবে৷ কোথায় মাটির বাড়ি আছে দেখব৷ দরকার হলে ওপর থেকে সার্ভে করব৷ নীচে থেকে সার্ভে করতে টাইম লাগে৷ পুরো ম্যাপটা সার্ভে করে পেয়ে যাব৷’’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন