সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতিতে অক্সিজেনের চাহিদা তুঙ্গে। হাহাকার সর্বত্র। এই সুযোকেই কাজে লাগিয়ে মহানগরে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম ইচ্ছেমত হাঁকছেন। ঘোর সমস্যার রোগীর বাড়ির লোক। এবার তাই কালোবাজারি রুখতে উদ্যোগী হল কলকাতা পুলিশ। নজরদারিতে গড়া হয়েছে বিশেষ দল। এছাড়াও হাসপাতালে অক্সিজেন সংক্রান্ত কোনও সমস্যা মেটাতে ঘোষণা করা হয়েছে বিশেষ দু'টি নম্বর।
ইতিমধ্যেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন করোনা রোগীর। বিপুল চাহিদার কথা মাথায় রেখে বর্তমানে অক্সিজেনের কালোবাজারি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে লালবাজার। তাই কড়া পদক্ষেপের লক্ষ্যে কলকাতা পুলিশের ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে তৈরি হয়েছে একটি বিশেষ টিম। এই টিমে রয়েছেন ৮ জন ইবির গোয়েন্দা আধিকারিক ও পুলিশকর্মী।
কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালাতে শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের এই নজরদারি দল। কলকাতার যে সংস্থাগুলি অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করে, সেখানে কত সংখ্যায় সিলিন্ডার মজুতরয়েছে তার তালিকা তৈরি হচ্ছে। এছাড়া ওষুধের দোকানগুলিতে কোন ধরনের অক্সিজেন সিলিন্ডার কত সংখ্যায় মজুত করা রয়েছে? কোনও দোকানের গুদামে অতিরিক্ত সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রয়েছে কি না? কোন এলাকায় কত ঘাটতি? এগুলো খতিয়ে দেকছে পুলিশের এই বিশেষ টিম।
অক্সিজেন সিলিন্ডার কালোবাজারির চেষ্টা কেউ করলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা।
করোনাকালে ভিটামিন-সি সহ কোভিডের বিশেষ ওষুধ, স্যানিটাইজার, মাস্ক, ফেস শিল্ডের চাহিদা রয়েছে। সেগুলোরও যাতে কালোবাজারি না হয় সেদিকেও লক্ষ রাখা হয়েছে।
এদিন দুপুরে কলকাতা পুলিশের ডিসিপি ট্রাফিকের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, অক্সিজেন দ্রুত রোগীর কাছে পৌঁছে দিতে গ্রিন করিডর করছে কলকাতা পুলিশ। এই জন্য দু'টি নম্বর দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে। নম্বর দুটি হল- ০৩৩২২৫০৫০৯৬/০৩৩২২১৪৩৬৪৪। এই নম্বরে ফোন করলেই পৌঁছে যাবে ফোর্স।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন