বালির প্রাক্তন বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার ছেলের ওপর দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ। সোমবার এই অভিযোগ বেহালা থানায় করেছেন খোদ বৈশালী। তবে ঠিক কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্পষ্ট করেননি তিনি। জানা গিয়েছে, গাড়ি পার্কিং নিয়ে বচসা হাতাহাতিতে গিয়ে শেষ হয়। কিন্তু এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখেছেন বৈশালী ডালমিয়া। বেহালায় চৌরাস্তায় এই হামলা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বাজার সেরে গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁর ছেলে। আচমকাই কয়েক জন মিলে আক্রমণ চালায়। গাড়ির কাচ ভেঙে তাঁর ছেলের পেটে ঢুকে যায়। চোখেও আঘাত লেগেছে। মুখের বেশ কয়েক জায়গা কেটে যায়।
বৈশালীর দাবি, ‘তিনি ভোটে লড়ার জন্যই ছেলের উপরে হামলা। রাজ্য সরকারের এনিয়ে তদন্ত করা উচিত।কে বা কারা করেছে আমি জানি না। খবর পেয়ে আমি যখন সেখানে যাই তখন আমাকেও মারার চেষ্টা করা হয়। ধাক্কা মেরে একটা গাড়ির সামনে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।’ দেখুন সেই ভিডিও:
তাঁর কথায়, ‘এটা আমার নির্বাচনী এলাকা নয়। আমি বিশেষ কাউকে চিনিও না। হামলাকারীদের মধ্যে এক জন মহিলাও ছিলেন। ছেলেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি দেখে দ্রুত পেটের ইউএসজি করতে বলেছেন। ওর গলাতেও আঘাতের চিহ্ন। হামলাকারীদের এক জন জামা দিয়ে ছেলের গলা পেঁচিয়ে ধরেছিল।’
হামলার পরে ঘটনাস্থল থেকেই একটি ফেসবুক লাইভ করেন বৈশালী। সেখানে ‘পার্থ দা’ নামে কাউকে সম্বোধন করে অভিযোগ জানাতে শোনা যায় বৈশালীকে। পরে তিনি জানান, রাজ্যের মন্ত্রী তথা বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোনে হামলার বিষয়টা জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যোগাযোগ করতে পারেননি। আতঙ্কের আবহে তিনি মনে করেছিলেন ফোনে পেয়ে গিয়েছেন। তাই কথা বলতে শুরু করেন।
পরে আরও এক বার ফেসবুক লাইভে আসেন বৈশালী। সেই সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘ভোটে লড়েছেন বলেই কি ছেলের উপর এভাবে হামলা করা হল?’ একইসঙ্গে বলেন, ‘দিনের বেলায় একটা বাচ্চা নিরীহ ছেলেকে মারধর করে কী প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে? এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, দিদি বিষয়টি দয়া করে খতিয়ে দেখুন। রাজ্যে এমন হিংসা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি সত্যিই লজ্জিত যে, আমি বাংলায় থাকি।’