Robinson Street in Tangra: মায়ের দেহ আগলে মধ্যবয়স্কা মেয়ে! গন্ধে নাজেহাল পাড়ার পুলিশে খবর

Robinson Street in Tangra: অপুষ্টিজনিত কারণে মায়ের বৃদ্ধার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়না তদন্তের পর আসল কারণ জানা যাবে।

Robinson Street in Tangra: অপুষ্টিজনিত কারণে মায়ের বৃদ্ধার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়না তদন্তের পর আসল কারণ জানা যাবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
কোভিডে মৃত্যুর এক বছর পরে মর্গে উদ্ধার জোড়া দেহ! চোখ কপালে প্রশাসনের

প্রতীকী চিত্র।

Tangra Body Recover: রবিনসন স্ট্রিটের স্মৃতি উসকে দিল ট্যাংরার শীল লেন। মায়ের মৃতদেহ আগলে প্রায় তিন দিন বসে ছিলেন মেয়ে। শনিবার দুপুর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় পড়শিদের সন্দেহ হয়। ট্যাংরা থানায় খবর গেলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধা কৃষ্ণা দাসের মেয়ে সোমা বছর চল্লিশের,  অবিবাহিতা। কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন না মা-মেয়ে। কী কারণে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখত না এই পরিবার। শনিবার দুপুর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় আমাদের সন্দেহ হয়। সন্ধ্যার দিকে পুলিশে খবর দিলে, রাতের দিকে ট্যাংরা থানা এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

Advertisment

প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অপুষ্টিজনিত কারণে মায়ের বৃদ্ধার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়না তদন্তের পর আসল কারণ জানা যাবে। এই ঘটনায় শহরবাসীর মনে ফিরিয়ে দেয় রবিনসন স্ট্রিট-কাণ্ড। ২০১৫ সালের জুন মাসে বৃদ্ধ বাবা ও দিদির মৃতদেহ আগলে বসে ছিলেন পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি।পরে নিজেও আত্মঘাতী হয়েছিলেন পার্থ।

এর আগে একই ঘটনা দেখা গিয়েছিল পাটুলিতে। সেখানে মৃত ছেলের দেহ আগলে ছিল পরিবার। সেই ঘটনায় বাড়ির ভিতর পৌঁছে পাটুলি থানা দেখতে পায় যুবকের দেহ মাটিতে শুয়ে। আর তাঁকে ঘিরে বসে বাবা-মা এবং বোন। পুলিশ দেহ উদ্ধারে গেলে পরিবার বাধা দেয়। বাবা-মা বলেন, ‘ছেলে অসুস্থ হয়ে অচৈতন্য হয়ে গিয়েছে। সুস্থ হলেই জেগে উঠবে।।‘ যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অন্তন্ত ৩-৫ দিন আগেই মৃত্যু হয়েছিল সেই তরুণের। একই ঘটনা গত বছর দেখেছিল বেলুড়। সেখানে ভাই-বোনের পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই দেহ আগলে বসে ছিলেন দিদি। স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছিল, ৩ জনই মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিল।  

Advertisment

২০১৮ সালে সল্টলেক এবং হরিদেবপুরে উঠে আসে রবিনসন স্ট্রিট কান্ডের ছায়া। সল্টলেকে ২ দিন ধরে মৃত মায়ের সঙ্গে এই ফ্ল্যাটে ছিলেন ছেলে। মৃতের ছেলেকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই দাবি করেছিলেন পড়শিরা।  আবার হরিদেবপুরে স্বামীর মৃতদেহের সঙ্গে বসবাস ছিলেন বৃদ্ধা স্ত্রী।  পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে অমরনাথ সান্যালের মৃতদেহ বিছানায় থেকে উদ্ধার করলেও নির্বিকার ছিলেন স্ত্রী। পুলিশের অনুমান, ৩-৪ দিন আগেই মারা গিয়েছিলেন গৃহকর্তা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Robinson Street Tangra Body Recover Tangra PS