/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/05/Narada.jpg)
ভোট মিটতেই ফের নারদ কাণ্ডে তৎপরতা। নারদ মামলায় তৎকালীন চার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রবিবার রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানান হল, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র (ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে তালিকায় নেই শুভেন্দু অধিকারীর নাম।
উপরোক্ত চারজনের মধ্যে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবার জিতে বিধায়ক হয়েছেন। কিন্তু গত ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। এবারের নতুন মন্ত্রিসভায় নাম রয়েছে ফিরহাদ ও সুব্রতর। বিধানসভা শুরু আগেই কোন এক্তিয়ারে রাজভবন অনুমতি দিতে পারে তাঁর একটা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে রাজভবন জানিয়েছে, যেসময় তাঁরা মন্ত্রী ছিলেন সেটি বিবেচনা করে অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল।
বেশ কয়েক বছর আগের এই ঘুষকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। সূত্রের খবর. ৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনের ৭ নম্বর ধারায় চার্জশিট পেশের জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজভবনের বিবৃতি মতো, সংবিধানের ১৬৩ ও ১৬৪ অনুচ্ছেদ মেনে সিবিআইয়ের আবেদনে সায় দিয়েছেন রাজ্যপাল।
Governor accorded sanction for prosecution of Firhad Hakim, Subrata Mukherjee, Madan Mitra & Sovan Chatterjee being appointing authority of Ministers @MamataOfficial under Article 164 & thus competent authority
Media reports that sanction was for being MLA is incorrect. pic.twitter.com/vqEg7Cv6OW— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 9, 2021
এই তালিকায় কেন শুভেন্দু অধিকারী নেই, সেই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের ব্যাখ্য়া, শুভেন্দু অধিকারী নারদা কাণ্ডের সময় সাংসদ ছিলেন। পরে তিনি বিধায়ক ও মন্ত্রী হন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে গেলে লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমতি প্রয়োজন।