যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুয়ার থেকে খালি হাতে ফিরে এসে সাংবাদিক বৈঠকে গর্জে উঠেলন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনকড়। আগামী ১৩ জানুয়ারি সকাল ১১টায় রাজভবনে রাজ্যের সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠকও ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল। এদিন প্রথমেই তিনি দুঃখের সঙ্গে জানান, "ধস নামছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থায়। শিক্ষাক্ষেত্রে এ হেন লজ্জাজনক ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমার মত না নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু কেন শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হল সে বিষয়ে যথাযথ কারণ দেখানো হয়নি"। এর পিছনে সরকারের মদত আছে বলেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন আচার্য। তাঁর অভিযো, "রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে আমাকে কোনো দিনই কিছু জানানো হয় না। এর থেকে বোঝা যায়, রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পঙ্গুত্বে ভুগছে"।
আরও পড়ুন: “বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফাইকর্মীর হাত থেকে সার্টিফিকেট নেব তবু রাজ্যপালের হাত থেকে নয়”
শিক্ষা প্রশাসনে আইন-শৃঙ্খলার প্রতি আঙুল তুলে রাজ্যপাল জানান, উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের কর্মসূচি সম্পর্কে কোনও তথ্যই জানাতে পারেননি। একই ছবি দেখা গিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও। সর্বক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যা কর্তৃপক্ষ উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে। এমনকী নয়া নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্যদেরও প্রধান সচিবের মাধ্যমে আচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে খাঁচাবন্দি করে রেখেছে বর্তমান সরকার।
রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা পদাধিকার বলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হওয়া সত্ত্বেও উপাচার্যর সঙ্গে কথা বলতে গেলে রাজ্যপালকে শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মারফত কথা বলতে হয়। এই আইন ও পদ্ধতি খুবই লজ্জাজনক বলে এদিন মন্তব্য করেন জগদীপ ধনকড়। তবে, তিনি আশা করেন, রাজ্য সরকার খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে নজর দেবে।