Advertisment

জিম এবং ফিটনেস সেন্টারগুলি খোলার দাবিতে কলকাতায় আন্দোলন

শহর এবং জেলাগুলিতে জিম সেন্টারগুলি প্রবলভাবে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সেন্টার যারা চালাচ্ছেন তাদের পেট চালানো রীতিমত কঠিন হয়ে পড়ছে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জিম এবং ফিটনেস সেন্টার খোলার দাবিতে আন্দোলন। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল

ওমিক্রন সুনামি বঙ্গে আছড়ে পড়তেই বন্ধ করা হয়েছিল, শহরের জিম ফিটনেস সেন্টারগুলি। এবার সেগুলি খোলার দাবিতে পথে নামলেন জিম মালিক এবং শহরের ফিটনেস প্রেমিদের একাংশ। তাঁদের যুক্তি 'শহরে যদি ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে হোটেল, রেস্তোরাঁ, স্যালন, পার্লার খোলা থাকতে পারে, তবে জিম সেন্টারগুলিকেও একই অনুমতি দেওয়া হোক'।

Advertisment

প্রায় ২০০ জন বিক্ষোভকারী মঙ্গলবার গান্ধীমুর্তির পাদদেশে জমায়েত হন। তাঁদের সাফ দাবি, 'এমনিতেই করোনাকালে মার খেয়েছে তাদের ব্যবসা। তারা ভীষণ ভাবে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অবিলম্বে জিমসেন্টার গুলিকে খোলার অনুমতি দিক সরকার'।

এপ্রসঙ্গে একটি ফিটনেস সেন্টারের মালিক সায়ন দাশগুপ্ত বলেন, গত প্রায় ২ বছর, তারা সেভাবে ব্যবসা করতে পারছেন না। যেখানে শহরের হোটেল রেস্তরাঁ পানশালা গুলি খোলা রয়েছে সেখানে ফিটনেস সেন্টার খুলে রাখতে সমস্যা কোথায়! তার কথায়, “আমরাও ৫০ শতাংশ মানুষ নিয়ে সকল কোভিড বিধি মেনে আমাদের ফিটনেস সেন্টারগুলি খুলতে চাই, সরকার আমাদের কথা বিবেচনা করুক”।

publive-image
প্রায় ২০০ জন বিক্ষোভকারী মঙ্গলবার গান্ধীমুর্তির পাদদেশে জমায়েত হন। এক্সপ্রেস ফটো- পার্থ পাল

তিনি আরও বলেন, “শহর এবং জেলাগুলিতে জিম সেন্টারগুলি প্রবলভাবে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, সেন্টার যারা চালাচ্ছেন তাদের পেট চালানো রীতিমত কঠিন হয়ে পড়ছে”।

তিনি বলেন, “প্রতিটি সেন্টারের নির্দিষ্ট গ্রাহক রয়েছেন, সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত কোন ভাবেই সম্ভব নয়, তাই দূরত্ব বিধি মেনে চলা অথবা অন্যান্য কোভিড প্রোটোকল মেনে চলা তাদের পক্ষে অনেক সহজ”। এক ই সঙ্গে তিনি জানান, “কেবল জিম সেন্টারের মালিকরা নয়, একই ভাবে সমস্যায় পড়ছেন, জিম করতে আসা মানুষজনও। সরকারের এটা বোঝা দরকার, কোভিড কালে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা খুবই প্রয়োজন”। 

দিনকয়েক আগেই সরকারের তরফে এক নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়, যেখানে বলা হয়, ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খুলে রাখা যাবে শহরের স্যালন পার্লারগুলি। বিক্ষোভকারীরা একটি বিবৃতিও জারি করে বলেছে “জিম ফিটনেস সেন্টারের সঙ্গে জড়ির প্রায় ২ লক্ষ মানুষের কথা বিবেচনা করে সরকারের তরফ থেকে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হোক”।

ফিটনেস বিশেষজ্ঞ রণদীপ মৈত্র বলেছেন, “কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরীর সুস্থ রাখা একান্তভাবেই প্রয়োজন । আর তার জন্য একশ্রেণীর মানুষের ভরসা জিম, ফিটনেস সেন্টারগুলি। এটা প্রশাসন বুঝতে পুরোপুরি ব্যর্থ”। 

Fitness Centre Gym centre
Advertisment