পেশায় চিত্রশিল্পী আর নেশায় দুঁদে প্রতারক। কিন্তু প্রতারণার এই জাল বেশি দীর্ঘ হওয়ার আগেই ধরা পড়লেন পুলিশের জালে। ফেসবুকে নিজের কয়েকটি ভুয়ো প্রোফাইল বানিয়ে মহিলাদের নানা উপায়ে ব্ল্যাকমেলিং করতেন হরিয়ানার বছর সাতাশের যুবক মহেন্দর কুমার। পুলিশের অনুমান, হরিয়ানার এই যুবকের জালিয়াতির ফাঁদে পা দিয়েছেন শহরের বহু মহিলা।
আরও পড়ুন, আগামী এক বছর তসলিমা নাসরিন ভারতেই
কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখার এক আধিকারিক জানান, বছর সাতাশের মহেন্দ্র কুমার আদতে হরিয়ানার ফতেহাবাদের বাসিন্দা। তবে সোশাল মিডিয়া ফেসবুকে নিজের বিভিন্ন নাম দিয়ে প্রোফাইল খোলে এই যুবক। উল্লেখ্য, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে তাঁর সমস্ত তথ্য। প্রতারিতদের মধ্যে থেকেই একজন পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ জানায়। অভিযোগপত্রে লেখা ছিল, মহিলাদের ফেসবুক প্রোফাইলে নিজের ভুয়ো প্রোফাইল দিয়ে প্রথমে বন্ধুত্ব পাতিয়ে পরে তাঁদের ছবি বিকৃত করে অশ্লীল ছবি বানিয়ে মহিলাদের হুমকি দিতেন মহেন্দর।
প্রতারিতদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই মার্চ মাসে মহেন্দরের নামে মামলা দায়ের করে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে প্রথমে আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই হরিয়ানার গ্রামে পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। কলকাতা পুলিশের এক অফিসার বলেন, "মহেন্দর কুমার নামের এই ব্যাক্তি মহিলাদের কাছ থেকে যৌন সংসর্গ এবং আর্থিক সাহায্যের দাবি জানাত। তাঁরা তা দিতে অস্বীকার করলে শুরু হত হুমকি"। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহেন্দর কুমার নিজেকে কখনও হ্যাপি সিং আবার কখনও কমল সিং নামে ভুয়ো প্রোফাইল মারফত মহিলাদের ব্ল্যাকমেইল করতো।
আরও পড়ুন, বাকি মাত্র কয়েকঘণ্টা, ফোনেই দেখুন চন্দ্রযান অভিযান
জানা যাচ্ছে গ্রেফতারের পর তাঁকে ফতেহাবাদ আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে ২৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শীঘ্রই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। মহেন্দর কুমারের নামে তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) , ৩৪৫এ(ওয়ান) (যৌন হেনস্থা), ৩৫৪ডি (স্টকিং), ৫০৬( অপরাধমূলক কাজকর্ম) এবং ৫০৯ ধারায় (মহিলাদের বিরুদ্ধে অশালীনতার অভিযোগ) এনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Read the full story in English