Advertisment

জলবন্দি শহরে অ্যাপ ক্যাবের জবরদস্তি

"এদিন অনেক যাত্রী ক্যাব না পেয়ে আমাদের কন্ট্রোলের ফোনে যোগাযোগ করেছেন। আমরা যথাসাধ্য সমাধান করার চেষ্টা করেছি।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ola uber, ওলা উবের

শনিবার দিনভর কলকাতায় অ্যাপ-ক্যাব বুকিং করতে গিয়ে ভুগলেন সাধারণ যাত্রীরা।

বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে প্রথমত অ্যাপ-ক্যাব বুকিং করতে গিয়ে গাড়ি মিলবে না। যদিও বা গাড়ি মিলল তো ভাড়া দ্বিগুন বা তিনগুন। তাতেও যদি 'ওকে' করেন তো ক্যাবের চালক সেই বুকিং বাতিল করে দিতে পারেন। টানা বৃষ্টি বা এক হাঁটু জল দাঁড়ালেই মহানগরে এটা একেবারে স্বাভাবাকি ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। অনলাইন অ্যাপ-ক্যাবের সংগঠনের দাবি, তাঁদের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে অনেকেই এদিন এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

Advertisment

ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন অ্যাপ ক্যাব অপারেটর্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এদিন অনেক যাত্রী ক্যাব না পেয়ে আমাদের কন্ট্রোলের ফোনে যোগাযোগ করেছেন। আমরা যথাসাধ্য সমাধান করার চেষ্টা করেছি।" তাঁর বক্তব্য, গড়িয়াহাট থেকে গল্ফগ্রিন যাবেন ঈশানী রায়। রাস্তায় তিনি গাড়ি পাচ্ছিলেন না। তিনি আমাদের নম্বরে ফোন  করেছিলেন। তাঁর সময় অনুযায়ী গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। সারাদিন এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। এই পরিষেবার সময়সীমা ছিল সকাল থেকে সন্ধে ৬টা। এই সংগঠনের বক্তব্য, পুজো বা বৃষ্টির দিনে যেমন খুশি ভাড়া হাঁকাচ্ছে ক্যাবগুলো। ১০০টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা দেখাচ্ছে।

আরও পড়ুন: মমতাকে তৈরি করতে সব নষ্ট করে জীবন দিয়েছিলাম, আর উনিই রাজনীতি করলেন: শোভন

দুপুর আড়াইটে নাগাদ হিন্দ সিনেমা এলাকা থেকে বুকিং করা ক্যাবের ভাড়ার রেট নিম্নরূপ। শ্যামবাজার ২২৫ টাকা, গড়িয়া ৫৫৩ টাকা, এয়ার পোর্ট ৫২২টাকা, হাওড়া ২৪৫ টাকা, পার্ক সার্কাস ২৩৭ টাকা, আলিপুর ৩৩১ টাকা। তবে এতেও দুর্ভোগে পড়ছেন না এমন নয়। বুকিং করার পর অনেক ক্ষেত্রেই তা বাতিল করা হচ্ছে, এমনই  অভিযোগ যাত্রীদের। এতদ সত্বেও সুরাহা পাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। অ্যাপ ক্যাবের হয়রানি শিকার হলেও কোথায় অভিযোগ জানিয়ে নিস্তার মিলবে, তাই বুঝে উঠেত পারছেন না কেউ।

গিল্ডের দাবি, "সরকার যদি হস্তক্ষেপ করে নতুন নিয়ম-নীতি তৈরি করেন তাহলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। অ্যাপ ক্যাবের লভ্যাংশ নীতিতে পরবির্তন আনতে হবে। এসি ক্যাব সরকারি নির্ধারিত রেট নেয়, যদি ওলা-উবের নির্দিষ্ট কমিশন নেয় তাহলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অহেতুক বৃষ্টি-বাদলার দিনে ভুগতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। এই সব দিনে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ ঘোষণা করুক সরকার। নির্দিষ্ট নীতি থাকলে মানুষ বুঝতে পারবে।"

kolkata public transport
Advertisment