Advertisment

'বাড়ি ফিরব কী করে?', ভেবেই ঘুম উড়েছে শহরের হোটেল মালিক-কর্মীদের

রাত দশটা থেকে নাইট কারফিউ, দশটাতেই শেষ লোকাল, সেইসঙ্গে হোটেল বন্ধের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে রাত দশটাতেই।

author-image
Sayan Sarkar
New Update
NULL

বাড়ি ফিরবেন কী করে, এই ভেবেই রাতেই ঘুম উড়েছে শহরের হোটেল মালিক-কর্মীদের

ডিউটি সেরে বাড়ি ফিরবেন কী করে শহরের হোটেল রেস্তোরাঁর কর্মীরা। এই প্রশ্নেই রাতের ঘুম উড়েছে তাদের। রাজ্যে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। সেখানে বলা হয়েছে, রাত ১০ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত জারি থাকবে নাইট কারফিউ। অন্যদিকে বাড়ি ফেরার শেষ লোকালের সময়ও রাত ১০ টা। একই ভাবে পানশালা থেকে হোটেল রেস্তোরাঁগুলির বন্ধের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে রাত্রি ১০ টা তেই। আর তাতেই সমস্যায় পড়েছেন, হোটেলের মালিক থেকে কর্মচারীরা। তাদের কথায়, “হোটেল বন্ধের পর বেরোতে মোটামুটি আরও আধঘণ্টা সময় তো লাগবেই। তখন বেরিয়ে রাস্তায় তো কিছুই পাব না। তার ওপর পুলিশি ঝামেলার আশঙ্কাও করছেন তারা”।

Advertisment

তাদের মধ্যেই একজন সিদ্ধার্থ ঘোষ, বাড়ি চন্দননগরে। কাজ করেন মধ্য কলকাতার পার্কস্ট্রিট্রের একটি পানশালায়। করোনা কালীন নয়া বিধিনিষেধে তিনি বেজায় সমস্যায় পড়েছেন। তার কথায়, ‘শুধু একা আমি নয়, আমার মত অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে শহরের পানশালাগুলিতে কাজ করতে আসেন। রেস্তোরাঁ বন্ধের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে রাত্রি ১০টা তে। অন্যদিকে সেই একই সময়ে বাড়ি ফেরার শেষ ট্রেন। আবার একই সময় থেকে চালু হচ্ছে নাইট কারফিউ। সব মিলিয়ে কাজ করে বাড়ি ফেরাই দায় হয়ে দাঁড়াবে’।

তিনি বলেন ‘এমনিতেই করোনা কালে হোটেল শিল্প মার খেয়েছে, তার ওপর একটু স্বাভাবিক হতে না হতেই ফের বিধিনিষেধ, এরকম চলতে থাকলে ফের অনেকেই চাকরি ছাড়তে বাধ্য হবেন, টান পড়বে পেটে’। একই সুর শোনা গেল এক হোটেল ব্যবসায়ীর গলাতেও। শ্রীরামপুর থেকে কলকাতায় হোটেল ব্যবসা চালান তিনি। তাঁর কথায়, ‘হোটেল বন্ধের পর কিছু কাজ থাকে তা মেটাতে ৩০ মিনিট লেগেই যায়, তারপর বাইরে বেরিয়ে বাড়ি আসার জন্য কিছুই পাবো না। মনে হচ্ছে পথে অথবা স্টেশনেই দিন কাটাতে হবে’।

তিনি আরও জানান, ‘কলকাতায় বেশিরভাগ হোটেল রেস্তরাঁগুলিতে বাইরে থেকে ছেলে কাজ করতে আসে। তাদের বাড়ি ফিরতে বেজায় সমস্যা হবে, রোজ রোজ তো ট্যাক্সি অথবা উবের করা সম্ভব নয়’। এখন এই পরিস্থিতিতে কাজ বাঁচিয়ে কী ভাবে বাড়ি ফিরবেন তা ভেবেই রাতের ঘুম উড়েছে রেস্তোরাঁ কর্মীদের একাংশের

hotel staff
Advertisment