কোকেন-কাণ্ডে তদন্ত ভার হাতে নিয়েই বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে তলব করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। কিন্তু পুলিশকে বিজেপি নেতা জানান, দিল্লিতে আগামী দু'দিন কাজ থাকায় তিনি যেতে পারবেন না, প্রয়োজনে তারপর লালবাজারে হাজিরা দেবেন বিজেপি নেতা। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাকেশ সিংয়ের চিড়িয়াখানা সংলগ্ন বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। সেই সময়ই তাদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয় ওই বিজেপি নেতার ছেলে। রাকেশের বাড়ির দরজা বন্ধ করে দেয় সিআইএসএফ। তল্লাশির কাগজ পরিবারের হাতে দেওয়ার দাবি করেন রাকেশ সিংয়ের ছেলে। পরে রাকেশ সিংয়ের ছেলে সিআইএসএফ-রক্ষীদের বাড়ির মূল দরজার সামনে থেকে সরে যেতে বলেন। শেষ পর্যন্ত বিকেল ৫.০৫ নাগাদ রাকেশ সিংয়ের বাড়িতে প্রবেশ করে পুলিশ। শুরু হয় ত্লাশি অভিযান।
Advertisment
এর আগে বিজেপি নেতার বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে পুলিশ রাকেশ সিংয়ের দুই পরিচারককে গ্রেফতার করে।
এদিকে হাইকোর্টেও ধাক্কা খেলেন বিজেপি নেতা। কলকাতা পুলিশের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে তার উপর স্থগিতাদেশ জারির জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন ওই বিজেপি নেতা। কিন্তু পুলিশ নিয়ম মেনেই সব কাজ করেছে বলে পর্যবেক্ষবেক্ষণে জানিয়েছে আদালত। এখনই কোকেন মামলার তদন্তে আদালত হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয় বলে জানানো হয়েছে। বিজেপির নেতার করা হাইকোর্টেমামলা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কোকেন-কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামী আলিপুর আদালতে দাঁড়িয়ে এই রাকেশের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিং তাঁকে ফাঁসিয়েছে, তাঁকে গ্রেফতার করা হোক। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার বিকেল চারটের মধ্যে রাকেশকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল।
পামেলার অভিযোগের পর কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে 'ষড়যন্ত্রে'র অভিযোগ তুলে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দেন রাকেশ। কমিশনার সৌমেন মিত্রকে চিঠি দিয়ে সেকথা জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা। চিঠিতে লিখেছিলেন, ফের যদি পামেলা তাঁর নাম নেয় তাহলে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
এদিন রাকেশ জানান, তদন্তের স্বার্থে হাজিরা দিতে কোনও আপত্তি নেই তাঁর। তবে, ২৬ তারিখের পর কলকাতা পুলিশের উপর তাঁর ভরসা নেই। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান ও আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে লালবাজারে যাবেন তিনি।