এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেও।
পুরভোটের পর আইএমএ-র পদাধিকারী নির্বাচন। পুরসভা নির্বাচনে বিরোধীদের অভিযোগের সুর এখানে তৃণমূলপন্থী চিকিৎসকদের একাংশের। চিকিৎসক সংগঠনের ভোট ঘিরে তোলপাড় রাজ্যের চিকিৎসক মহল।
Advertisment
আইএমএ(IMA) কলকাতা(Kolakata) শাখার নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা। সকাল ১১টা থেকে তালতলায় আইএমএ-র(IMA) কলকাতা শাখা অফিসে শুরু হয়েছে ভোটদান। আইএমএ-র সভাপতি পদের জন্য লড়াই করছেন চিকিৎসক-বিধায়ক নির্মল মাঝি ও আরেক চিকিত্সক প্রশান্ত ভট্টাচার্য। ভোটপর্ব শুরুর আগে থেকেই ভোটকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দু’ পক্ষের সমর্থকরা। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। আইএমএ-র কলকাতা শাখার অফিসের সামনে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। একপক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তোলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে।
আইএমএ (IMA) কলকাতা (Kolakata) শাখার নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা। নিজস্ব চিত্র
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেও। কারণ সদ্যসমাপ্ত রাজ্য পুরভোটে ব্যাপক ছাপ্পা-রিগিংয়ের অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। এবার সেই ছাপ্পা ভোটের অভিযোগেই বিদ্ধ তৃণমূলেরই চিকিৎসক সংগঠনের দুই প্রার্থী। আইএমএ’র কলকাতা শাখার সভাপতি পদে লড়ছেন বিধায়ক তথা চিকিৎসক নির্মল মাজি। আর তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন চিকিৎসক প্রশান্ত ভট্টাচার্য। চিকিৎসক মহলের খবর, ডায়মন্ড হারবারে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কর্মসূচিতে অগ্রণী ভূমিকায় নিয়েছিলেন প্রশান্ত ভট্টাচার্য। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে চিকিৎসক সংগঠনের নির্বাচনেও আদি-নব্য বিবাদ মাথাচাড়া দিয়েছে। তৃণমূলের সংগঠনের প্রভাব এসে পড়েছে চিকিৎসক মহলেও।
Advertisment
আইএমএ (IMA) কলকাতা (Kolakata) শাখার নির্বাচনে অবরুদ্ধ লেনিন সরনি: নিজস্ব চিত্র
বিক্ষোভকারীরা সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, ‘কুকুরের ডায়ালিসিস থেকে টসিলাজুমাব। যিনি কেলেঙ্কারির চূড়ায় বসে রয়েছেন তিনি আবার অন্যের বিচার করেন। আমরা গোঁড়া তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক। আমরা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে চাই। আমরা ব্যক্তি নির্মল মাজির বিরুদ্ধে।’ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন নির্মল মাজি। বরং তাঁর অভিযোগ ভোটের পরিবেশকে অযথা অশান্ত করা হচ্ছে। এদিকে শাসক শিবিরের দুই গোষ্ঠীর চিকিৎসক নেতার অনুগামীদের প্রকাশ্য বিরোধ নিয়ে শশী পাঁজা বলেন, এমন পরিবেশ কখনই কাম্য নয়। শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে ভোটের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সুরে কথা বলেছেন শান্তনু সেনও।