New Town Explosive Recovery: রাজ্যে কি জাল বিস্তার করছে ভাগলপুর মডিউল? নিউটাউন থেকে বিস্ফোরক-সহ দুই জন গ্রেফতার হয়ার পর এই প্রশ্ন জাগছে গোয়েন্দাদের মনে। বড়দিনের আগে শাপুরজি বাসস্ট্যান্ড থেকে বৃহস্পতিবার বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুই জনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। প্রায় ১৩ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয় ধৃতদের থেকে। পাশাপাশি কার্বাইন, পিস্তল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সুত্রের মারফৎ এসটিএফ খবর পেয়েছে ভাগলপুর থেকেই ওই অস্ত্র এবং বিস্ফোরক শহরে ঢুকেছে। তবে কী উদ্দেশে এত পরিমাণ বিস্ফোরক আনা হয়েছিল? তা জানতে ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে এসটিএফ। এদিন ধৃতদের বিধাননগর আদালতে তোলা হলে এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বিস্ফোরক , আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পরেই বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিক্কো পার্ক, ইকো পার্ক, সিটি সেন্টার এক এবং দুই এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। কলকাতাকে করিডর করে এত বিস্ফোরক অন্য রাজ্যে পাচার হচ্ছিল না এই শহরেই নাশকতার পরিকল্পনা ছিল? প্রাথমিক ভাবে এই তথ্য জানতে চাইছে পুলিশ। পাশাপাশি বড়দিন উপলক্ষে কলকাতাজুড়েও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। মধ্য কলকাতায় মোতায়েন প্রায় ৩ হাজার পুলিশকর্মী। পার্ক স্ট্রিট, এসপ্লানেড চত্বরে মোতায়েন থাকবে সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশ। শহরজুড়ে সক্রিয় থাকবে একাধিক পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। হাফ ডজন ওয়াচ টাওয়ার থেকে চলবে নজরদারি।
পুলিশ সুত্রে খবর, শনিবার বড়দিন হলেও, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই পথে নামবে কলকাতা। তাই আগাম প্রস্তুতি সেরে রেখেছে কলকাতা পুলিশ। যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন কয়েক হাজার পুলিশকর্মী। এমনটাই লালবাজার সুত্রে খবর। এদিকে, উৎসবের আবহে রাজ্য প্রশাসন থেকে ভাবাচ্ছে ওমিক্রন।
ইতিমধ্যে ১৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়েছে এই স্ট্রেন। আগামি ৭-১০ দিন রাজ্যগুলোকে আরও সতর্ক হতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই পরিবেশে বড়দিনের আবহে আতঙ্কের খবর। কলকাতায় দুই বিদেশ ফেরত ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রনের অস্তিত্ব মিলেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগেই নাইজেরিয়া থেকে কলকাতায় ফেরেন একজন। আরও একজন লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় ফিরেছিলেন। বিমানবন্দরে দু’জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্টেই দেখা গিয়েছে দুজনই ওমিক্রন আক্রান্ত। আপাতত ওই দুজনকে কলকাতারই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন