যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয় বিতর্ক ও গন্ডগোল। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সমালোচনার ঝড় বইয়ে দেন কিছু মানুষ। এইসব ঘটনার জেরে মোট ১,৭০০ জন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী চিঠি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। এর ফলে বুধবার বিকেলে ওই প্রাক্তনীদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যপাল।
১৯ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সেই সময় এনআরসি ইস্যুতে বেশ কিছু প্রশ্ন করে কয়েকজন পড়ুয়া। এরপরই ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়ান বাবুল। শারীরিক নিগ্রহ পর্যন্ত জল গড়ায়। চলে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। খোদ রাজ্যপাল বাবুল সুপ্রিয়কে 'উদ্ধার' করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে নিয়ে যান। শেষমেশ হাঙ্গামা, ভাঙচুর, আগুনের পর সেদিনের মত ঘটনার সমাপ্তি ঘটে। প্রাক্তনীরা মনে করেন, এই ঘটনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি ঘটিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে, তাও অনভিপ্রেত।
প্রাক্তনীদের পক্ষে তন্ময় ঘোষ বলেন, "যাদবপুরের প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল রাজ্যপালকে। সেই চিঠিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১,৭০০ জন প্রাক্তনী স্বাক্ষর করেছেন। সেদিনের ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। একজন দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিছু ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়াটা ওঁর সাংবিধানিক পদের সঙ্গে মানানসই নয়। তারপরে তথাকথিত দলের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় ভাঙচুর করে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংষ্কৃতির সঙ্গে মেলে না। পরবর্তীকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সোশ্যাল মিডিয়ায় কলুষিত করার চেষ্টা চলেছে। তারও আমরা বিরোধিতা করেছি।"
বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সম্পাদক তন্ময়বাবু আরও বলেন, "এমনভাবে পুরো বিষয়টা সোশ্যাল মিডিয়ায় একপক্ষ উপস্থাপন করেছে, যেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু এইসবই হয়। আচার্য হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধানও। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্থিক তহবিলের ব্যবস্থা করুন। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ঘটানো যায়। উনি ডেকে পাঠিয়েছেন। বুধবার সাড়ে চারটেয় বৈঠক হবে।"
জানা গিয়েছে, এই প্রাক্তনীদের মধ্যে এমন কেউ থাকছেন না, যিনি সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মোট ৬ জন প্রতিনিধি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন।