/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/IMG-20200220-WA0033_copy_759x422.jpg)
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোটের ফল ঘোষিত।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভোটে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়াদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি গোপন থাকেনি। তাই নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়ারা। কিন্তু, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায়, বুধবার পুরনো নিয়মেই দিতে হয় ভোট। সাহায্য নিতে গিয়ে তাঁরা কাকে ভোট দিচ্ছেন তা কেন অচেনা কেউ জানতে পারবেন? সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন দৃষ্টিহীন পড়ুয়ারা।
গতকাল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ-সহ আরও একাধিক বিভাগে দেখা গিয়েছে, যাকে ইচ্ছে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে পারেননি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়ারা। তখন তাঁরা প্রশ্ন করেন কেন এমনটা হবে? তার যোগ্য জবাব দিতে পারেননি বিভিন্ন দলের সমর্থকরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমগ্র ছাত্র সংগঠন স্বীকার করেছে তাদের ব্যর্থতার কথা। এসএফআই সংগঠনের সমর্থক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া দেবরাজ দেবনাথ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেন, "তাঁদের সেই জায়গাটা দিতে পারেনি। আমরা দুঃখিত। একইভাবে এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফিলতি"।
আরও পড়ুন: ‘যাদবপুর ক্যাম্পাসে বসন্ত এসেছে, লাল সেলাম’
বৃহস্পতিবার, ছাত্রভোটের ফলাফলের দিন বিশ্ববিদ্যালয় তরফেই জানানো হয় আগামী দিনে এই সমস্যা যাতে না হয়, যেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়াদের গোপনীয়তা বজায় থাকে, সে দিকে নজর দেওয়া হবে। অন্যদিকে, এসএফআই সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী ছাত্র নির্বাচনে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে। নতুন নিয়ম তৈরি করা হবে। যাকে ভরসা করতে পারবেন, তার সঙ্গেই ভোট দিতে যেতে পারবেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে লাল রঙে আঁচড় কাটতে পারল না গেরুয়া শিবির
এর আগে এতগুলো ভোট পর্ব পার করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তাহলে কেন এই সমস্যা আগে চোখে পরলো না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তরফে জানানো হয়েছে, আগে বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রদের সংখ্যা কম ছিল। এবছর সে সংখ্যা অনেকাংশে বেড়েছে। তাই গোপনীয়তা বজায় রাখার সমস্যা প্রকাশ্যে এসেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন