যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভোটে জিততে না পারলেও প্রথমবারের লড়াইয়ে তারা সফল, এমনটাই মনে করছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। তাদের কথায়, "বীজ পোঁতা হয়েছিল, তা থেকে যে চারাগাছ বেরিয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। পরবর্তীকালে যাদবপুরে এসএফআইয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে শুধুমাত্র এবিভিপি। পরিবর্তন হবে যাদবপুরের।"
কলা বিভাগে তেমন জায়গা করতে না পারলেও, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ডিএসএফ-এর পরেই, দ্বিতীয় স্থানে নাম উঠে এসেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে হাজারের বেশি ভোট পেয়েছে এবিভিপি। অন্যদিকে কলা বিভাগে সংস্কৃত ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রায় কুড়ি শতাংশ ভোট পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে মোটের উপর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসএফআই ও ডিএসএফএ-র থেকে পিছিয়ে এবিভিপি।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে জয়ী DSF, বিজ্ঞান বিভাগ WTI-এর, কলা বিভাগে জয়ী SFI
এসএফআই সমর্থক সুজন চক্রবর্তী ইন্ডিয়ানে এক্সপ্রেস বাংলাকে বলে, "ভোটে দাঁড়িয়েছে, দেড় কোটি টাকা খরচ করেছে প্রচারে। ধর্ম নিয়ে প্রচার করেছে। কিছু ভোট তো পাবে নিশ্চয়ই। তবে ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগে যে ভোট পেয়েছে, তা অনেকাংশে কম।"
অন্যদিকে, এবিভিপি সমর্থক যাদবপুরের এক পড়ুয়া জানিয়েছে, "সিএএ, এনআরসি, এনপিআর আমাদের বিষয় ছিল না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো নিয়ে চিন্তিত বেশি। ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক, শিক্ষাগত উন্নতির চিন্তাভাবনা নিয়েই আমরা এগোতে চেয়েছি। যারা জিতল তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে চিন্তিত নয়। তারা বহিরাগত বিষয়কে নিয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে চায়, তাই মনে করছি পড়ুয়ারা আগামী ভোটের আগে ভাবনা বদলাতেও পারে।"
লালরঙা যাদবপুরের ক্যাম্পাসে গেরুয়া শিবির আঁচড় কাটতে না পারলেও, প্রথমবারের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে বলে মনে করছে তাদের সমর্থক মহল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন